• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে আলোরুপা মোড় মার্কেটে আগুন, ব্যাপক ক্ষতি

| নিউজ রুম এডিটর ২:৫৮ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৪, ২০২৩ লালমনিরহাট, সারাদেশ

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আলোরূপা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডে ১০ ব্যবসায়ীর দোকান ও গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে লালমনিহাটের সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে ততক্ষণে গোডাউন ও দোকানে থাকা অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতে তখন অনেকেই দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কেউ কেউ দোকান ও গোডাউন বন্ধ করে চলে গেছেন। হঠাৎ আলোরুপা মোড়ের আর্ট স্কোপ নামে দোকানের উপরে আগুন দেখেন তারা। যা মুহূর্তে পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে টানা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী খেলা ঘরের প্রোপাইটার সুশান্ত কুমারের ছেলে ধনঞ্জয় বলেন, আমাদের দোকান বন্ধ ছিলো। রাত ১০ টার পরপর এক বন্ধুর ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। এসে দেখি দোকানের অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই।

ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যবসায়ী লালমনি জেনারেল স্টোরের মালিক বাদল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটি।আগুনে দোকান ও গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। মুহূর্তে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো। একেবারে পথে বসে গেলাম। এসময় তিনি প্রশাসন ও সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রাব্বি জানান, এই আগুনে লালমনি জেনারেল স্টোর, খেলাঘর, স্টার ফার্নিচার, আর্ট স্কোপ, মামুন স্টোর ও দোকান লাগোয়া দুটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও এগিয়ে এসেছে।

লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার পরপরই খবর পেয়ে লালমনিরহাট ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক যোগে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। আর অগ্নিকাণ্ডের সূত্র ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ও পৌর মেয়র এসেছি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মানুষেরা সহযোগীতা করেছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি তথা উপজেলা পরিষদ সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের পাশে আছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগীতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।