• আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে মিথ্যাচার হেতু কি ?

| নিউজ রুম এডিটর ১২:০৫ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০২৩ আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আবারো প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে এমপিকে জড়িয়ে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এদিকে আবারো একই গোষ্ঠী তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গ, চ্যালাচামুন্ডা ও তাদের নিয়ন্ত্রতাধীন গণমাধ্যমে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিবেচনায় তাদের ছড়ানো এসব প্রোপাগান্ডা আমজনতার কাছে অনেক আগেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

জানা গেছে, আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার ও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন শুরু করেছেন। তবে সময় স্বল্পতার কারণে একই মঞ্চে নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে এসব কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। দেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিভিন্ন এলাকায় যেখানে একটি কমিটি গঠনে হামলা-পাল্টা হামলার মতো ঘটনা ঘটে। সেখানে তানোর-গোদাগাড়ীতে একই মঞ্চে সহাবস্থান ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এসব কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। নেতৃত্বের প্রতি কতটা আস্থা-বিশ্বাস এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে কতটা ঐক্যবদ্ধতা থাকলেই কেবল এটা সম্ভব তার গভীরতা অনুধাবন করতে হবে। অথচ যে কাজের জন্য উপজেলা কমিটির ধন্যবাদ পাবার কথা, সেই কাজের জন্য একটি গোষ্ঠী উপজেলা কমিটি এবং সাংসদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ পদাধিকার বলে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতেই পারেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংসদ একক ক্ষমতা বলে কমিটি গঠনের ক্ষমতা রাখেন না। অথচ কমিটি গঠনে সাংসদকে জড়িয়েই প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে বা হেতু কি ? এরা দীর্ঘদিন যাবত জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদেরই বি-টিম হয়ে এমপির বিরুদ্ধে অবিরাম অপপ্রচার করে আসছে। কারণ এমপি যেখানে জেলা সভাপতির পদ ইচ্ছেকৃত ভাবে ছেড়ে দিয়েছেন, সেখানে উপজেলা কমিটি গঠনে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন কেন ?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী তাদের তাদের সাঙ্গপাঙ্গ ,চ্যালাচামুন্ডা ও তাদের নিয়ন্ত্রতাধীন গণমাধ্যমে অপপ্রচার করছে জেলাে কমিটির অনুমতি ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমতো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ এবং ছাত্রলীগের কমিটি করছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কোনো মতামত নেওয়া হচ্ছে না। এসব কমিটিতে বিএনপি জামায়াত থেকে আসা লোকদেরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শী পরিবার থেকে কেউ কি আওয়ামী লীগ করতে পারে না।

তছাড়া জামায়াত-বিএনপির কোন নেতাকে আওয়ামী লীগের কোন পদে বসানো হয়েছে,তাতে এমপির কি ভূমিকা রয়েছে, তার কোনো সু-নিদ্রিষ্ট তথ্য-উপাত্য ব্যতিত মনগড়া ও গায়েবী অভিযোগে, একটানা তিনবারের নির্বাচিত সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কারিদের নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এসব অপপ্রচার কারিদের নিয়েই সমাজে নেতিবাচক নানা কেচ্ছা-কাহিনীর প্রচার রয়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার বলেন, গঠনতন্ত্রের কোথাও বলা নেই একই মঞ্চ থেকে একাধিক কমিটি ঘোষণা করা যাবে না। তাছাড়া নির্বাচনের আগে সময় স্বল্পতার কারণে এটা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলররা সবাই উপস্থিত থাকছেন। তাদের মতামত নিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পদাধিকার বলে এমপি মহোদয় এসব সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন। কিন্ত্ত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি ঘোষণা করছেন উপজেলা নেতৃবৃন্দ। তিনি বলেন, এসব নিয়ে এমপি মহোদয়কে জড়িয়ে অপপ্রচার অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, যারা এসব করছে তারা জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট বা দোসর।