• আজ ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার কমেছে ১৩ শতাংশ ও জিপিএ-৫ কমেছে ৮ হাজারের ও বেশি

| নিউজ রুম এডিটর ১২:১৩ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৯, ২০২৩ সারাদেশ

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪২। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বলছে, পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভিন্নতা আনায় ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।বোর্ড বলছে,সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস এ ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ জন।পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪২। যা গত বছরের তুলনায় তের শতাংশ কম। গতবছর এই পাশের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৮।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান জানান,গত বছর আংশিক সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছিল,উত্তর দেয়ার অনেক বেশি প্রশ্নের অপশন থাকায় গত বছর ফলাফলের হার ছিল বেশি।এবছর আমাদের সব বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হয়েছে।গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় ভিন্নতা থাকায় পাশের হারে প্রভাব পড়েছে।পাশের হারের সাথে সাথে কমে এসেছে জিপিএ ৫ হারও। এবছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থী।গতবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৯হাজার ৯শ ৯৮ জন।এবার ৮ হাজার ৩শ পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ কম পেয়েছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জিপিএ ৫ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলে ৫৫৫ জন, এর পরের অবস্থান স্কুল জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৬২ টি। কুমিল্লা জেলা স্কুল পেয়েছে ৩৩৬টি জিপিএ ৫ এবং নবাব ফজুন্নেসা স্কুল পেয়েছে ৩২২টি জিপিএ ৫। পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানালেন,পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভিন্নতা আনায় পাশের হার কিছুটা কমে গেছে।তারপরেও নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভালো রেজাল্ট করেছে এবারের পরীক্ষার্থীরা।এছাড়া সময় পার করে প্রথম স্বাভাবিক পরীক্ষায় প্রস্তুতিতেও এই শিক্ষার্থীদের কিছুটা ঘাটতি ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষকরা।কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন,গত বছর উত্তর দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন পছন্দের সুযোগ ছিল।এবছর সেই সুযোগ ছিল না।

এবছরের পরীক্ষার্থীরা মাত্র করোনা কাল অতিক্রম করে এসেছে,তাদের পরীক্ষা পদ্ধতির প্রস্তুতি নিয়ে ঘাটতি ছিল।যে কারণে ফলের হার কিছুটা কমেছে।শুধু কুমিল্লা নয় সারা বাংলাদেশেই ফলাফলের হার কিছুটা কম।কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান নার্গিস সুলতানা বলেন,ফলাফল ভালো করার জন্য শিক্ষক অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সুষম প্রচেষ্টা কাজে লেগেছে।আমরা চেষ্টা করেছি শুধু স্কুলে নয় পারিবারিক ভাবেও শিক্ষার্থীদের পরিচর্যা করতে।কুমিল্লা বোর্ডের ছয় জেলা মিলে ১৭৭৬ টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে উন্নয়ন শীলটি প্রতিষ্ঠান।শূন্য পাশের হার নেই কোন প্রতিষ্ঠানে।