রাজশাহীর তানোর পৌরসভার (বিসিআইসি) অনুমোদিত রাসায়নিক সার ডিলার মেসার্স মোল্লা টেড্রার্সের বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন করে এলাকার বাইরে সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোর পৌর এলাকার কৃষকেরা যখন এক বস্তা এমওপি (পটাশ) সারের জন্য বাবু ডিলারের দোকানে হন্য হয়ে ঘুরেও সার পাচ্ছেন না। তখন পৌর সভার ডিলার বাবু শত শত বস্তা এমওপি সার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে। অথচ সার বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী এক এলাকার ডিলার অন্য এলাকায় সার দিতে পারবেন না। তবে সংকট দেখা দিলে উপজেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে সার দিতে পারবেন।
তানোর পৌর এলাকার কৃষক মেহেদী, আব্দুল, রুস্তম ও এন্তাজ বলেন, এই ডিলারের কাছে নায্যে মুল্য এমওপি সার পাওয়া যায় না। বেশী দাম দিলেই সার মিলে। এছাড়াও সে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিভিন্ন এলাকায় এমওপি সার পাচার করে আসছে। কৃষক মনি বলেন, বাবুর দোকানে এক মাস ঘুরেও তিনি তিন বস্তা এমওপি সার কিনতে পারেননি। অথচ তিনি গোপণে শত শত বস্তা এমওপি সার এলাকার বাইরে পাচার করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৯ জুলাই শনিবা দুপুরে তালন্দ-কলমা রাস্তার আজিজপুর মোড়ে ১০০ বস্তা এমওপি (পটাশ) সার বোঝাই একটি ভুটভুটি কৃষকেরা আটক করে জানতে চাই এসব সার কোথা থেকে আসছে। ভুটভুটি চালক বলেন, তালন্দ বাজারের মেসার্স মোল্লা টেড্রার্স থেকে এসব সার বাধাইড় ইউপির বৈদ্যপুর মোড়ে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নাবিলা টেড্রার্সের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা সারের ফটো তুলতে গেলে মোহাম্মদ আলী বাবু তাদের গায়ের ওপর দিয়ে সারের গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এভাবে সার দেবার কোনো সুযোগ নাই, এক ডিলার অন্য ডিলারের কাছে সার দিতে চাইলে কৃষি বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন।তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌরসভার বিসিআইসি অনুমোদিত ডিলার মেসার্স মোল্লা টেড্রার্সে স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, কিভাবে সার দিতে হবে সেটা আমি আর কৃষি কর্মকর্তা বুঝবো, কিছু জানার থাকলে দোকানে এসে কথা বলতে হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স নাবিলা টেড্রার্সের ম্যানেজার বাবু বলেন, এভাবে সার আনা যায় না, তবে কৃষি কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে এসব সার বাইরে থেকে আনা হয়েছে।