![](https://peoplesnews24.com/wp-content/uploads/2023/11/received_896939288697793.jpeg)
![](https://peoplesnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
একে মিলন সুনামগঞ্জ থেকে : অপ্রিয় হলেও সত্য, সুনামগঞ্জে সরকারি এ্যাম্বুলেস ব্যবহার করে চলছে বিশ্বম্ভপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পুত্রের পড়াশুনা। ঘটনাটি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ঘটেছে।
জানা গেছে, বিশ্বম্ভপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল্লাহেল মারুফ ফারুকী তাঁর পুত্রকে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণাধীন এ্যাম্বুলেস মাধ্যমে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাচ্ছেন।এ্যাম্বুলেসটি মুমূর্ষু রোগী বহন করার কথা থাকলেও উক্ত কর্মকর্তা তা মানছেন না। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন বিশ্বম্ভপুর উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠানো হয় পুত্রকে।
এ্যাম্বুলেস চালক ক্ষীরদ হাজং নিয়মিত এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশ্বম্ভপুর থেকে সুনামগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলো মিটার। আসা যাওয়া প্রায় ২৮ কিলো মিটার।
যাতায়াতে কি পরিমান জ্বালানি তেল ব্যয় হয় তা এ্যাম্বুলেস চালক ক্ষীরদ হাজৎ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।
সরকারি তেলের অপচয় করে উক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁর পুত্রকে পড়াশোনা পথ এভাবে বেঁচে নিয়েছেন।
এ্যাম্বুলেসটি জেলা শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ডাক্তার পুত্রকে দিয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে অথবা পৌর বিপনী মার্কেট চত্বরে পার্কিং করতে দেখা যায়। স্কুল ছুটি হলে আবার ডাক্তার পুত্রকে এ্যাম্বুলেস যোগে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বম্ভপুরে। এ রুটিনে চলছে ডাক্তার পুত্রের পড়াশোনা।
সর্ব সাধারণের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে উক্ত কর্মকর্তা সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে কাউকে পরোয়া করছেন না। পুকুর চুরির এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও কেউ সাহস করে কিছু বলতে পারছেন না। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের চোঁখে ধুলো দিয়ে উক্ত কর্মকর্তা সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে দূর্নীতি করছেন।
এ ব্যাপারে এ্যাম্বুলেস চালক ক্ষীরদ হাজং এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার আমাকে যাই বলেন, তাই আমাকে করতে হয়। স্যারের কথার বাহিরে যেতে পারি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহেল মারুফ ফারকীর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়।
জেলা সিভিল সার্জন ড: আহম্মদ হোসেন এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন জানলাম”বিষয়টি আমি দেখবো” ব্যক্তিগত কাজে এম্বুলেন্স ব্যবহার করা ঠিক না।
রোগীদের ব্যবহারের জন্য এম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে।