• আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন উপধরনে চার বছর পর আবারও করোনা!

| নিউজ রুম এডিটর ৩:২৮ অপরাহ্ণ | মার্চ ৮, ২০২৪ কোভিড-১৯, লিড নিউজ

দেশে করোনা শনাক্তের চার বছর বাদে এসে নানা উপধরন নিয়ে এখনো সামনে আসছে কোভিড-১৯। আইইডিসিআর বলছে, করোনাকে একবারে বাদ দেয়া অসম্ভব। তবে এর মারাত্নক হওয়ার সক্ষমতাও নেই। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে বছরজুড়েই চালাতে হবে সমীক্ষা, অবস্থা বুঝে নিতে হবে ব্যবস্থা।

 

নতুন নতুন ধরন নিয়ে করোনা সামনে এলেও এর মারাত্মক হওয়ার সক্ষমতা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিগত ২০২০ সালের ৮ মার্চ সব শঙ্কাকে সত্যি করে ঘোষণা আসে বাংলাদেশে কোভিড ১৯ শনাক্ত। এরপর অজানা আতঙ্কের এক গল্প। ২৫ মার্চ লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন — এমন নানা নতুন নতুন শব্দ যুক্ত হয় আমাদের যাপিত জীবনে।

সব কিছু ছাপিয়ে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে মানুষ। তবে করোনা কি পিছু ছেড়েছে? করোনোকালে রাতারাতি হাসপাতাল বনে যাওয়া ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল এখন রোগীশূন্য। তবু মাঝে মাঝে অমিক্রন, ডেলটা কিংবা জেএন.ওয়ান-এর ঢেউ এসে লাগে এ প্রান্তে।

আইইডিসিআর বলছে, একেবারে নির্মূল হবে না এ ভাইরাস। টিকা আর আক্রান্ত হয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ায় নতুন ধরন খুব একটা দাপিয়ে বেড়াতে পারবে না ঠিকই। তবে অন্য সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ক্ষণে ক্ষণে দেখা দেবে।

চার বছর আগে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেশব্যাপী চিত্রটা ছিল এমনই। কোলাজ ছবি

আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ওঠানামার মধ্যেই থাকবে এ ভাইরাস। এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে। তবে খুব বেশি সিরিয়াস হবে না, যদি ওই মানুষটার মধ্যে অন্য কোন সমস্যা না থাকে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইইডিসিআর-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি স্বাবলম্বী করা দরকার। দক্ষ জনবল তৈরি করে লেগে থাকতে হবে এ ভাইরাসের পেছনে, যেন আবার মহামরির মতো শব্দগুলো ঢুকে না যায় স্বাস্থ্যখাতের অভিধানে। অক্সিজেন আর আইসিইউর মতো সুবিধা দেশের প্রায় সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে।

চার বছর বাদে এসেও গতকাল (৭মার্চ) সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৫ জনের।