• আজ ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

হ্যান্ডকাপ আসামি খোদ পুলিশের হাত থেকেই পালিয়ে গেল

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৫, ২০২৪ আইন ও আদালত

বিশেষ প্রতিবেদক: হ্যান্ডকাপ নিয়ে ওসির সোর্স দাবিদার ও উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইকুল ইসলাম নামে এক গ্রেফতার আসামি খোদ পুলিশের হাত থেকেই পালিয়ে গেল বীরদর্পে ।

সাইকুল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্তগ্রাম শিলডুয়ারের বাসিন্দা সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাজ্জত আলীর গুণধর পুত্র।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পরপরই হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় বীরদর্পে সে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে সাইকুলের পালিয়ে যাওয়া এবং সে একটি জি/আর মামলার পলাতক আসামি ছিল বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এক দায়িত্বশীল অফিসার।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চান্দের বাজারের ব্যবসায়িগণ, শিলডুয়ার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ও থানা পুলিশ জানায়, একটি জি/আর মামলার পলাতক আসামি হিসাবে থানার এসআই নবী হোসেন সঙ্গীয় পুলিশী টহল দল নিয়ে রাত ৯টার দিকে সীমান্তের চান্দের বাজার থেকে উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইকুলকে গ্রেফতার করে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ান।
এরপর থানায় তাকে নিয়ে যেতে চাইলে পারিবারিক প্রভাবে পরিবারের লোকজন, স্বজন ও ব্যাক্তিগত ভাবে লালিত সীমান্তের চোরাকারবারিদের সহায়তায় হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় পুলিশের হাত থেকেই বীরদর্পে পালিয়ে যায় সাইকুল।

অভিযোগ রয়েছে , সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর থানায় নবাগত ওসি হিসাবে কাওছার আলম যোগদানের পর থেকে চিনাকান্দি সীমান্ত চোরাচালানের ঘাট নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে বলে সাইকুল থানার ওসির সোর্স পরিচয়ে থানা পুলিশ, পুলিশের উধ্বর্তন অফিসার, বিজিবি’র অফিসার ও আইনশৃস্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চিনি, কসমেটিকস, মসলা,বিদেশি মাদক, ইয়াবা কারবারি, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় সেখ নাসির বিড়ি, কাঁচা-শুকনা মাছ, ফলমুল ,খাদ্য সামগ্রী, গবাধিপশু , রসুন চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করতে থাকে। সাইকুলের সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদবাজির ব্যাপারে ওসি কাওছার আলমকে এলাকার লোকজন বারবার অভিযোগ করলেও তিনি অদৃশ্য কারনে মামলার পলাতক আসামি সাইকুলকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত এমনকি মাদকসহ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে কোন দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) পদে থাকা অবস্থায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে তাকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির আদেশ বলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয় কাওছারকে। তাহিরপুর থানা থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে ছুটি কাটানোর নামে শহর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন কাওছার। এক পর্যায়ে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে কৌশলে কাওছার আলম শহর পুলিশ ফাঁড়ির বদলির আদেশ প্রত্যাহার করিয়ে সীমান্ত চোরাচালান বাণিজ্য ও অপরাধ প্রবণ থানা খ্যাত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই নবী হোসেন জানান, সাইকুলকে গ্রেফতারের পর হ্যান্ডকাপ পড়াই, তারপর গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে তার পরিবারের লোকজন, স্বজন ও সীমান্তের চোরাকারবারিা সংঘবদ্ধ হয়ে জড়ো হলে সে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থাতেই পালিয়ে যায়। আমি সহ ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলাম, তাই এত লোকের সামনে আমাদেরকে নাজেহাল অবস্থায় ফিরতে হয়েছে থানায়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি কাওছার আলমের নিকট সাইকুলের পালিয়ে যাওয়া ও তার বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে তার সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। ।