• আজ ১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি শিক্ষক হাফিজের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ: ভিসির বাসভবন ঘেরাও

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৫০ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ শিক্ষাঙ্গন

 

মানিক হোসেন, ইবি: নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে এবার উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য বাসভবনে গিয়ে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তদন্ত না ভন্ডামি, ভন্ডামি ভন্ডামি’, ‘প্রশাসন সিদ্ধান্ত, মানি না মানবো না’ ‘প্রহসনের বিচার  মানিনা মানবোনা’, ‘প্রশাসনে প্রহসন, মানি না মানবো না’, ‘বিচার না পুরষ্কার, পুরষ্কার পুরষ্কার’ ‘একশান একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘হাফিজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘হাফিজ হটাও, ক্যাম্পাস বাচাও’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।


বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীপ সাহা বলেন, হাফিজের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু প্রশাসন বিচারের নামে একটা প্রহসন করছে। তাকে মাত্র ১ বছরের ছুটিতে পাঠিয়েছে। এটা মনে হয় যেন তাকে প্রশাসন পুরষ্কৃত করেছে। আমরা এ বিচার প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা হাফিজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই। আমরা লম্পটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের অবস্থান কর্মসূচি করছি। প্রশাসন সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কথা দিবে তারপরে আমরা এখান থেকে উঠবো। তার বিরুদ্ধে ২৭ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তারপরেও তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখিছি। কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। হাফিজ যদি এক বছর পরে আবার বিবাগে ফিরে আসে তাহলে সে শিক্ষার্থীদের জীবন শেষ করে ফেলবে। আমরা এই হুমকির মধ্যে থাকতে চাই না। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। তিনি বিভাগকে একটি টর্চারসেল বানিয়ে ফেলছিলো। পুনরায় আবার টর্চারসেল বানানোর পায়তারা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়া, সমকামিতাসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তার কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এর প্রমাণ পায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।