• আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু |

যুদ্ধাপরাধীর নামে ইবি হলের নামকরণ : ছাত্র ইউনিয়নের নিন্দা

| নিউজ রুম এডিটর ১১:১০ অপরাহ্ণ | মার্চ ৬, ২০২৫ শিক্ষাঙ্গন

 

 

মানিক হোসেন, ইবি:বাংলাদেশের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানের নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের নামকরণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। বুধবার (৫ মার্চ) রাতে সংগঠনটির ইবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেনের প্রেরিত সংবাদ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মাওলানা ভাসানীর নামে নামকরণের আহ্বান জানান তারা।

সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয় বুধবার (৫ মার্চ) বিকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪টি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করে শাহ আজিজুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। শাহ আজিজুর রহমানের একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। একইসাথে অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনেরও আহ্বান জানানো হয়।

এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন্ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর নামে আবাসিক হলের নামকরণ জাতির জন্য এক কলঙ্কজন সিদ্ধান্ত। একই সাথে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থীও। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে লুট হয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের বৈষম্যহীন দেশ গড়ার শপথই ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শাহ আজিজুর রহমানের নামে আবাসিক হলের নামকরণের মধ্য দিয়ে ইবি প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বলে আমরা মনে করি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন একাত্তরে পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আবদুল মোতালেব মালিকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য হন এবং রাজস্বমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক জাতিসংঘে প্রেরিত প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি জাতিসংঘে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করলেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। শাহ আজিজুর রহমান জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পাকিস্তানি সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে অন্যায় কিছু করেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের নামে সেখানে যা চলছে, তা হলো ভারতের মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের উচিত সেটাকে পাকিস্তানের ঘরোয়া ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করা।” এছাড়াও তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়ে ছিলেন। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে আবাসিক হলের নামকরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র ইউনিয়ন। তারা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই।’

সংবাদ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ, ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী ও এদের মানুষের অধিকার আদায়ের অগ্র নায়ক মাওলানা ভাসানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৪টি আবাসিক হল ও ১টি ভবনের নাম পরিবর্তন করা হলো কিন্তু সেখানে মাওলানা ভাসানীর মতো জাতীয় নেতার নামে কোনো স্থাপনা রাখা হয়নি। যা দুঃখজন। আমরা ইবি প্রশাসনের কাছে রাজাকারের নাম পরিবর্তন ও মাওলানা ভাসানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের আহ্বান জানাচ্ছি।