• আজ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেককে আনন্দিত করেছে’ | মাঝ পথে থেমে গেলো কক্সবাজারগামি পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন | ইসরাইলে ৪ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, পাঠিয়েছে শত শত ড্রোন | ইরান কখনো পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি | আ.লীগকে নেব না, ভালো মানুষদেরও বাদ দেব না: মির্জা ফখরুল | সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে পাকিস্তান, ইসরাইলকে কড়া হুঁশিয়ারি | মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠক করলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস | ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলের হামলা, ভিডিও প্রকাশ! | ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান | সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা |

দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ‘মার্চ টু ঢাকা’র হুঁশিয়ারি নাহিদের

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না আসলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি বার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে এনসিপি আহ্বায়ক লিখেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’

তিনি আরও লিখেন,
দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, জুলাইবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, ইসলামবিরোধী, নারীবিরোধী, মানবতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপরই একযোগে মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা। ৪টা ৪০ মিনিটে শাহবাগের মূল সড়কে বসে পড়েন হাজারো মানুষ। স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শাহবাগ এলাকা।

এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর পল্টন মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নামে গণ অধিকার পরিষদ। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়, ‘ব্যান ব্যান হবে, আওয়ামী লীগ ব্যান হবে’, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘শেখ হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’।

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠে।