

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ড্যাব ও শহীদ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেত্রী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা: সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, বিগত ১৬ বছর শেরপুরের কোন উন্নয়ন হয়নাই। ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছে। আমরা ব্যক্তি নয় শেরপুরের উন্নয়ন করতে চাই। বিএনপি করার কারণে বিগত ১৬ বছর আমরা নির্যাতিত হয়েছি। আমার বাবা সাড়ে তিন বছর জেল খেটেছেন। আমাদের সবকিছু শেষ। আমরা শেরপুরের মানুষের পাশে আছি থাকবো। ডা: সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
শুক্রবার (৪জুলাই) বিকেলে শেরপুর সদরের ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শেরপুর সদরের ভাতশালা, কামারিয়া ও রৌহা ইউনিয়নের গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এ কর্মী সভায় শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ হযরত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া ফাউন্ডেশন ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী বিগত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (শেরপুর সদর-১) আসন থেকে ধানের শীষের আলোচিত প্রার্থী ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এঅনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ.বি.এম মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক পিপি অ্যাডঃ আব্দুল মান্নান।
এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় পর স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের পতন হয়েছে। এখন সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে হবে। আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবক’টি আসনে দলের জনপ্রিয় ও তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে যার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তাদেরকেই দল মনোনয়ন দিলে এইসব আসনে জয়লাভ করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বক্তারা আরোও বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে দলের চালিকাশক্তি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভালবাসার কাছে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিশ্চয়ই বিবেচনায় নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবিকে গুরুত্ব দিবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করি।