• আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  | শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি: নাহিদ ইসলাম | কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ | প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের মেয়াদে বিএনপি একমত- সালাহউদ্দিন আহমেদ | মধ্যপ্রাচ্যে চার দেশের আকাশসীমা বন্ধ, ঢাকা থেকে সব ফ্লাইট বাতিল  | ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ইসরাইল, নিহত ৩ | সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক জন নিহত | সিলেটে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নারী গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণ |

গণধর্ষণ হুমকিতে এইচএসসি পরিক্ষার্থী, ব্যবস্থা নিতে পুলিশের গড়িমসি

| নিউজ রুম এডিটর ১:৫৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ৬, ২০২৫ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :বরগুনা সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়নের ধূপতি এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে বারবার হামলা লুটপাটের শিকারের পর গণধর্ষণ হুমকিতে রয়েছে এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর পরিবার। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে দাবি করে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণেরও অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবার।

এনিয়ে শুক্রবার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য এইচএসসি পরিক্ষার্থী আয়শা লিমা। তার সঙ্গে তার বাবা মো. আবুল কালাম, বোন হাফছা আক্তার চাঁদনী এবং জমির বিক্রেতা বেল্লাত উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আয়শা লিমা জানান, বরগুনা সদরের পূর্ব ধূপতি মনসাতলী এলাকার বেল্লাতের কাছ থেকে জমি কিনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করেন তারা। কাজ শুরুর পর স্থানীয় প্রভাবশালী খলিলুর রহমান বিভিন্ন সময় বাধা দিয়ে পুলিশ এনে নির্মাণকাজ বন্ধ করে জমির কাগজপত্র নিয়ে দুই পক্ষকে থানায় যেতে বলা হয়। তারা থানায় গেলেও প্রতিপক্ষরা আসেনি। বরং তারা লোকজন নিয়ে তাদের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুটে নেয়। ব্যাংক থেকে তোলা চার লাখ টাকাও নিয়ে যায়। যেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে এসে তদন্ত করে অভিযুক্তদের সতর্ক করেন।

তবে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেননি। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দৃষ্টিগোচর করা হয় এবং তিনি থানার একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে আমাদেরকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষরা আবার হুমকি দিতে থাকে। এমনকি পরিবারে মা ও বোনসহ আমাকে গণধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে এসব বিষয় নিয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বরাবর খলিলুর রহমান, জাকারিয়া, সুমন, ইয়াসিন, হাসান, আশরাফ শেখ, মিরাজ প্যাদা, মামুন পঞ্চায়েত, আবুল বাসারসহ অভিযুক্ত নয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে দুইজন আটক করলেও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আয়শা বলেন, গত ১ জুলাই এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আয়শা ও তার বোন বাড়ির বাইরে গেলে একা পেয়ে আমার অসুস্থ মায়ের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়। নির্মাণাধীন ঘরের রড, সিমেন্টসহ মালামাল লুটে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করছেন না। কিন্তু কেন তারা আমাদের অভিযোগ নিতে চায় না এটার তদন্ত হওয়া জরুরি। অবিলম্বে আমাদের জমির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।