• আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে শিক্ষক

| নিউজ রুম এডিটর ১১:৩৩ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫ কুড়িগ্রাম, শিক্ষাঙ্গন, সারাদেশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজী অসুস্থতা দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট মৌখিক ছুটি নিয়ে তিনি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজী অষ্টমীর ইউনিয়নের চর মুদাফৎ কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং চিলমারী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন।

জানা যায়,বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সকালে চিলমারী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি আনন্দ র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় বিএনপির অনুষ্ঠানে শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজী র‍্যালির সম্মুখ সারিতে অবস্থান করেন। তিনি বুধবার ৩ আগস্ট সকাল ১০টায় অসুস্থতার কারণ জানিয়ে মুঠোফোনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন’র কাছ থেকে মৌখিক ছুটি নিয়েছিলেন।

সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ছুটি নিয়ে রাজনৈতিক বা জনসম্পৃক্ত কর্মকান্ড অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। এ ধরনের কাজ সরকারি চাকুরিজীবীর নৈপুণ্য ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার জানান, শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আজকের আনন্দ র‌্যালীতে অংশ গ্রহণ করেছেন।

দলীয় পদে থাকা এবং বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বীকার করে শিক্ষক জিয়ারা খাতুন রোজী বলেন, ‘স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে তিনি দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। যদিও এটি চাকুরি বিধি অনুযায়ী ঠিক নয়। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তিনি চাকুরি অথবা রাজনীতি যে কোন একটি বেঁচে নিবেন বলেও নিশ্চিত করেন।

চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষিকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন জানতে পেরে তার দলীয় পরিচয়ের তালিকা সংগ্রহ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।