![](https://peoplesnews24.com/wp-content/uploads/2021/10/২৫১.jpg)
![](https://peoplesnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শরিয়া আইনে বা ইসলামি ব্যবস্থায় কিভাবে দেশ চালাতে হয়, তালেবান সরকারকে তা শেখার আহ্বান জানিয়েছে কাতার। আফগানিস্তানের নতুন সরকারের সাম্প্রতিক কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি।
এদিকে আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পরাজিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। আর পরাজয়ের জন্য তালেবানের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত চুক্তিকে দায়ী করেছেন আরেক জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি। কংগ্রেসের সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির এক শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন তারা।
আফগানিস্তানে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মূল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে কাতার। তালেবানের কাবুল দখলের পর মার্কিন বাহিনীর জরুরি উদ্ধার অভিযানেও সহায়তা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি। এমনকি কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনাসহ তালেবান সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে তারা। কিন্তু গোষ্ঠীটির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে এতটুকু কার্পণ্য করছেন না দেশটির কর্মকর্তারা।
ক্ষমতা গ্রহণ ও সরকার গঠনের পর গত এক মাসের মধ্যে তালেবান এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। আফগানিস্তানে চুরির শাস্তি হিসাবে হাত কাটার শাস্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। গত সপ্তাহেই অপহরণের অভিযোগে চারজনকে হত্যা করে রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়েছে তারা। মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছে না। বিক্ষোভে গুলি ছুড়ে হত্যা করা হচ্ছে নারীদের। বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। এদিন মেয়েদের স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে কাবুলের পূর্বাঞ্চলের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সামনে ছোট একটি মিছিল বের করেন ছয়জন নারী। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আমাদের কলম ভাঙবেন না, আমাদের বই পুড়িয়ে দেবেন না, আমাদের স্কুল বন্ধ করবেন না।’
তালেবানের গণবিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে একে ‘হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছে কাতার। বৃহস্পতিবার রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা আফগানিস্তানে কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এগুলো খুবই হতাশাজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তালেবানকে এ ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলো কিভাবে পরিচালিত হয়, কিভাবে আইন প্রণয়ন করে, কিভাবে নারী ইস্যুগুলো মোকাবিলা করে তা আমরা তাদের দেখানোর চেষ্টা করছি।’ ইসলামি রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাতার একটা মুসলিম দেশ। আমাদের শাসনব্যবস্থা ইসলামি শাসনব্যবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার পরিচালনায় ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যাই বেশি।’
এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিুকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের আর্মড সার্ভিস কমিটির ডাকা এক শুনানিতে আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি এবং চিফস অব স্টাফসের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। নিজ সাক্ষ্যে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানগোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের।
পিএন/জেটএস