• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জ্বালায় অতিষ্ট রোগীরা

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৩০ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ৩০, ২০২২ সারাদেশ

মোঃতারিকুর রহমান চুয়াডাংগা প্রতিনিধি ঃ দিনভর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দখলে থাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । সকাল থেকেই তারা সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবাধ বিচরণ করতে থাকেন।

সরে জমিনে দেখা গেছে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা দলে দলে ভাগ হয়ে জীবন নগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ভেতরে ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে অবস্থান নিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন।আজ সকাল ১০টার দিকে পপুলার ঔষধ কোম্পানির ইমদাদুল হক রোগী সাধারণকে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকে তার প্রেসক্রিপশন দেখেন ছবি তোলেন, দেখেন কোন কোম্পানির ওষুধ লেখা হয়েছে।দিনভর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দখলে থাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । সকাল থেকেই তারা সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবাধ বিচরণ করতে থাকেন।এসি,আই,ঔষধ কোম্পানির মশিয়ার রহমান তিনি এক রোগী প্রেসক্রিপশন কেড়ে নেন এবং জোরপূর্বক ছবি তোলেন। ছবি তুলতে দেয়নি বলে তাকে ধাক্কা ধাক্কা মেরে তাকে ভয় ভীতি দেখান।

সরে জমিনে দেখা গেছে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা দলে দলে ভাগ হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ভেতরে ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে অবস্থান নিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন। ছবি তোলেন, দেখেন কোন কোম্পানির ওষুধ লেখা হয়েছে।দিয়ে অবহিত করা হয়েছে। এতে প্রথমে কিছু দিন তারা বিরত ছিল। কিন্তু কয়েক দিন পরই আবার হাসপাতালে ছুটে আসে। তাই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অফিস সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার নিয়ম না থাকলেও সকাল ১০টার আগেই দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে অবস্থান নেন বিভিন্ন কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা। ডাক্তারদের কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় থাকার সুযোগ নেন তারা।

কোনো কক্ষ থেকে রোগী বের হওয়া মাত্রই তাদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেন। ডাক্তার কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন তা জানার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার ডাক্তারের লেখা ঔষধের বদলে নিজের কোম্পানির ওষুধ কেনারও পরামর্শ দেন। কেউ সুযোগ বুঝেই ঢুকে পড়েন ডাক্তারের কক্ষে। রোগী দেখার সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে তিনি নিজ কোম্পানির ওষুধ লেখানোর চেষ্টা করেন।সকাল থেকে জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগ কক্ষের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করেন বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এ সময় হাসপাতালে রোগীর প্রচণ্ড ভিড় থাকে। একেকজন রোগী ডাক্তারের কক্ষ থেকে বের হন অমনি তাদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা। কেউ তাদের ছবি ওঠানোর বিষয়টি ফলো করলে দ্রুত সটকে পড়েন। অবস্থান নেন হাসপাতালের মূল ভবনের প্রবেশ গেটের সামনে।

আবার কৌশলে কয়েকটি ব্যবস্থাপত্র দেখার পর হঠাৎই ডাক্তারের কক্ষে ঢুকে পড়েন। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নানাভাবে ডাক্তারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতি টের পেলে দ্রুত সটকে পড়েন।মাঝেমধ্যে ওষুধ কোম্পানির লোকেদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করলে তারা রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন, তাদের এমন দৌরাত্ম হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। এ অবস্থায় ডাক্তাররা যেন অনেকটাই অসহায়। রোগীসহ তাদের স্বজনরাও চরম বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন।