• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নয় বছরের শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা: থানায় মামলা

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৩০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ ঢাকা, সারাদেশ

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু।। রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ ভান্ডারি গ্যারেজের ওসমানের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ৯ বৎসরের মেয়েকে গত ২৮ জানুয়ারি সকাল সাতটার দিকে কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে মৃত নাজির আহম্মেদের ছেলে মো. আবদুল হালিম ঘরের দরজা বন্ধ জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গত বুধবার মো. আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে রংগন সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নির্যাতিত শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দক্ষিনখান থানায় মামলা দায়ের করেছে । মামলা নং-০৩, তারিখ ০১/০২/২২ ইং, ধারা-৯(৪)-(খ)।

জানা যায়, অভিযুক্ত মো. আব্দুল হালিমের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থানায়। বর্তমানে তিনি ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া, ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ২৮ জানুয়ারি শিশুটির মা ও তার ভাইয়েরা সকাল ছয়টায় বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ধর্ষক আবদুল হালিম ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি আতঙ্কে চিৎকার করলে আশে পাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে এলে আবদুল হালিম স্থান ত্যাগ করে। পরে ফায়দাবাদ এলাকায় খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার একব্যক্তি রংগন সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশসের অফিসে ঘটনাটি জানান। তাৎখনিক রংগন সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী সাংবাদিক শিমুলী আক্তার নীলু তার সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্যাতিতা শিশু ও তার মাকে নিরাপত্তার জন্য ফাউন্ডেশনের অফিসে আশ্রয় দেন। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৪৭নং ওয়ার্ড কমিশনার মো. মোতালেব মিয়াকে বিষয়টি জানান এবং স্থানীয় থানায় অবহিত করেন। এর মধ্যে ধর্ষক আবদুল হালিম কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শিশুটির মা সুজিয়া বেগম জানান, নরপশু আব্দুল হালিম এবং তার বাসা পাশাপাশি। এর আগেও টাকা ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়, কিন্তু তার মেয়ে ভয়ে কাউকে কখনো কিছু বলেনি। কিন্তু গত ২৮ জানুয়ারি ওই শিশুটিকে আবারো পাশবিক নির্যাতন চালাতে চাইলে শিশুটি চিৎকার চেচামেচি করার কারনে ঘটনাটি জানা জানি হয়। এরপর হালিমের দালালরা মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভয়ভিতি দেখায়। পরে আমি রংগন সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশনের সভানেত্রীকে ঘটনার বিষয়ে জানালে তিনি তাদের সংগঠনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় থানায় মামলা দায়ের করেন।

তাৎখনিক দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি শুনে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানালে তিনি রংগন সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী শিমুলী আক্তার নীলুকে ধন্যবাদ জানিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রহমানকে মামলাটি গ্রহন করতে নির্দেশ দেন। পরে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ উদ্যেগে অপরাধী আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এবং শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নিশ্চিত করেন।