• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মাহমুদুলকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৩০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ পিপলস মানবিক

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ লেখাপড়ায় সবে হাতেখড়ি। এরপর গুটিগুটি পায়ে স্কুলে যাওয়া। ছোটাছুটি আর দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখত বাড়ি। সদাহাস্যজ্জল সেই শিশু মাহমুদুল হাসান (প্রায় সাড়ে ৬ বছর) এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে। গতবছরের ২৭ জুন রাতে হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে জ্বর আসে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

রামেক হাসপাতালে সাতদিনের চিকিৎিসায় সুস্থ হলে শিশু মাহমুদুল হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ৯ জুলাই রাতে খিঁচুনি দিয়ে আবারও জ্বর আসে। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে আবারও ঠাঁই হয় রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে।

তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে আসে। কিন্তু হারিয়ে যায় বাকশক্তি। একই সঙ্গে শরীরের ডানদিক অবশ হয়ে যায়। বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দিয়েও তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে এমন পরামর্শ ও ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অর্থাভাবে পিজি হাসপাতালে নিতে পারেননি তার দরিদ্র বাবা-মা। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শিশুটি।

শিশু মাহমুদুল হাসান মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের পারএনায়েতপুর গ্রামের পোষাক শ্রমিক মিলন হোসেনের ছেলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঢাকায় নিয়ে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে হবে। এতে প্রয়োজন হতে পারে অন্তত ৫ লাখ টাকা।

শিশুটির বাবা মিলন হোসেন জানান, তাঁর কোনো জমিজমা নেই। ঢাকায় রেডিমেট পোষাক তৈরির একটি কারখানায় সেলাইয়ের কাজ করেন। এ পেশার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার। কিন্তু করোনার কারণে সেই কাজও হারিয়েছেন অনেক আগেই। ছেলের চিকিৎসার জন্য যেটুকু সহায়-সম্বল ছিল এরইমধ্যে তাও শেষ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, স্ট্রোক প্যারালাইজডে আক্রান্ত হয়ে তাঁর ছেলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না। এ অবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। তাঁর ব্যবহৃত ০১৭৪৬-১৫২১২৮ নম্বরে বিকাশ কিংবা নগদ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রসাদপুর শাখার ১২২১৪২৬১ নম্বর হিসাবের অনুকুলে অনুদানের টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।