• আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে অভিভাবকহীন তিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী!

| নিউজ রুম এডিটর ৭:০২ অপরাহ্ণ | মার্চ ১, ২০২২ মুন্সীগঞ্জ, সারাদেশ

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার: আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যক্রমের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার তিন ইউনিয়নের সভাপতিকে সাময়িক বহিস্কারের পর থেকে অভিভাবকহীন হয়ে পরেছে ইউনিয়ন তিনটির নেতাকর্মীরা। ইউনিয়ন তিনটিতে সভাপতি বিহীন সাংগঠনিক চর্চা না থাকায় নেতৃত্ব সঙ্কটে ভুগছেন নেতাকর্মীরা। এমনটাই জানিয়েছেন তারা। তথ্য ও সূত্র মতে, চতুর্থ ধাপে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একজন করে দলীয় প্রতিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। দলীয় প্রতিকে মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন তথা ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া, কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কপাসের হোসেন ও বয়রাগাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আলাউদ্দিন নৌকা প্রতিকে মনোনীত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া জনসাধারণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও বাকীরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হন।

এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বারেক বেপারী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হাজী আব্দুর রহিম, রশুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট আবু সাঈদ আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন৷ তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান মৃধা, ও শেখরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শহীদ ইউপি নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা এখনো বহিষ্কৃত হননি।

এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোয়ন চেয়ে না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুদু নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ পূর্বক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তিনি বহিষ্কারের আওতায় আসেন নি। উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে মু্ন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু পদত্যাগের ব্যপারে বলেন, আমাকে নৌকা দেয় নাই তাই আমি পদত্যাগ করছি। আমাকে কেউ বহিষ্কার করে নাই।

এ ব্যপারে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ লুৎফর রহমান জানান, আমরা সাময়িক বহিস্কার করেছি। স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। আর গতকালকে বলেছি যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়নি তাদের তালিকা পাঠাতে। এক দফা চিঠি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। আবারও যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছে তাদের সকলের নামের তালিকা সহ চিঠি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠাবো।