• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট : ভিপি নুর | দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা দিয়ে পিছু হটল আ. লীগ | ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না’ | রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ | বিমান বিধ্বস্ত ঢাকায় এসেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল | ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা : হাসনাত আবদুল্লাহ | বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, গুরুতর ১৩ | যে ১০ দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা | নিজের প্রাণ বিলিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁচানো সেই মাহরিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি | মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনায় ৩১ জন নিহত; ইবিতে গায়েবানা জানাজা |

গো খাদ্য সংগ্রহে সরিষা ক্ষেতে কৃষাণীদের ভীড়!

| নিউজ রুম এডিটর ৪:০৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ২, ২০২২ ঠাকুরগাঁও, সারাদেশ

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: গত কয়েকমাসের তুলনায় বাজারে এখন গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারিরা তাদের পশুসম্পদ নিয়ে মহাসংকটে আছে। খৈল, ভুষি, খড়সহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধিতে তা সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে, এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে গম, ভুট্রা ও সরিষা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করছেন গবাদি পশু পালনকারীরা।

এমনই একটি দৃশ্য চোখে পড়ে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের এক সরিষা ক্ষেতে। দেখা যায় একদল কৃষাণী বাড়িতে পালিত গবাদি পশুর জন্য সরিষা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করছে।

কথা হয় কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করাতে আসা দিপা রানীর সাথে। তিনি বলেন, তার বাড়িতে দুই টা গরু ও একটা ছাগল আছে। তিনি অন্যের কাছ থেকে পাঁচ পন (৪০০ আঁটি) খড় কিনেছিলেন ৮০০ টাকায়। বর্তমানে সেই খড়ের বাজার মূল্য প্রতি মন ৩০০/৩৫০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই তিনি প্রতিদিন সকালে তার পালিত গবাদি পশুর জন্য সরিষা, গম, ও ভুট্রা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করেন। একই কথা বলে নুরজাহা ও মনোয়ারা বেগম। তারা বলেন, মানুষের খাবারের পাশাপাশি গরু ছাগলের খাবারেও দামও বাড়ছে। আমরা গবাদি পশু পালন করে বছর শেষে কিছু টাকা আয় করি। গো-খাদ্যের মূল্য বর্তমানে এতটাই চড়া যে এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক পন (৮০) খড় ৩০০/৩৫০টাকায় কিনতে হয় তাদের যা দু’টি গরুর খাবার চার দিনের বেশি যায় না। খাদ্য সংকটের কারণে গাভীও কম দুধ দিচ্ছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো: শাহারিয়ার মান্নান বলেন, বাজারে গো-খাদ্য দাম একটু বেশি। তাই গবাদি পশু পালনকারী ও খামারিদের দানাদার খাবারের উপর চাপ কমিয়ে ঘাস উৎপাদনের দিকে মনোযোগ বাড়ানো উচিত। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।