বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বুকের মারাত্মক সংক্রমণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।
কিন্তু এর দুদিন পর মাঠে নেমে ৫২ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দেন এ পাকিস্তানি তারকা। আইসিইউ থেকে ফিরেই রিজওয়ানের এমন পারফরম্যান্সকে রীতিমতো অলৌকিক ঘটনা বলে প্রচার করা হয়।
এবার ফাঁস হলো রিজওয়ানের সেই অলৌকিকতার পেছনের কারিগর এক এক ইনজেকশন, যা আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ।
দ্রুত সেরে ওঠার জন্য ওই নিষিদ্ধ ইনজেকশন নিয়েছিলেন রিজওয়ান। এ তথ্য বিশ্বকাপের ছয় মাস পর ফাঁস করে দিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক নাজিব সোমরো।
রিজওয়ানের সঙ্গে আড্ডাচ্ছলে কথা উঠে সেমিফাইনালের আগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আইসিইউতে কাটানো এবং অলৌকিকভাবে মাঠে ফিরে আসার ঘটনাটি।
এ সময় তথ্যটি দেন পিসিবির চিকিৎসক নাজিব। তার সেই বক্তব্য পিসিবির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে রিজওয়ান জানিয়েছেন, সেদিন যদি ২০ মিনিট দেরি করে হাসপাতালে যেতেন তহালে আর মাঠে খেলাই হতো না তার। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতেন হয়তো।
সেই প্রসঙ্গ টেনে নাজিব জানান, ওই সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল রিজওয়ানের। অতি জরুরি অবস্থা হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে রিজওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পর নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল রিজওয়ানের। চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল তার। এদিকে দুদিন পরেই সেমিফাইনাল। হাসপাতালে থাকার পক্ষে ছিলেন না রিজওয়ান। ম্যাচটি খেলতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু তার শ্বাসনালী প্রায় পুরোটাই ব্লক ছিল। যে কারণে খুবই উচ্চমাত্রার একটি ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন ছিল তার।
কিন্ত সেখানেই বিপত্তি বাঁধে। কারণ সেই ইনজেকশন আবার যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্য নিষিদ্ধ।
নাজিব সোমরো বলেন, রাত ৩টার সময় খানিক বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। আইসিসির অনুমতি নিয়ে রিজওয়ানকে দেওয়া হয় সেই ইনজেকশন।
মূলত সেই ইনজেকশনের পরই দ্রুত সুস্থ হন রিজওয়ান এবং পিসিবির ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামেন। খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।
সেই ম্যাচে রিজওয়ান ফিফটি হাঁকালেও ম্যাথু ওয়েডের ঝড়ে হেরে যায় পাকিস্তান।
তথ্যসূত্র: ক্রিকট্র্যাকার