গতিপথ পরিবর্তন করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিন্দা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং বর্তমানে ওড়িশা উপকূলের খুব কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। কাকিন্দা উপকূলে জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর সতর্কতা। কয়েকটি অঞ্চলে জারি রয়েছে ‘রেড এলার্ট’। ঝড়ের প্রভাবে এসব অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, আবারও গতিপথ পরিবর্তন করে বঙ্গোপসারে অবস্থান করা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অশনি কাকিন্দা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এটি আবারও গতিপথ পাল্টে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনম উপকূলে আঘাত হানবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় অশনি বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে বলে পূর্বাভাস দেন আবহাওয়াবিদরা। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। এদিকে কাকিন্দা উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কায় সেখানে ১০ নম্বর সতর্কতা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ, বিশাখাপটনম, পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রের্ড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ সময় ভারি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অঞ্চলগুলোতে। অশনির প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও বেশ কিছু অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেশেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থেকে হচ্ছে ভারি বৃষ্টিও।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত সব লাইটার জাহাজকে সদরঘাট ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাস কার্যক্রম ব্যাহত। সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর-নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা এরইমধ্যে তীরে ফিরে এসেছে।
ঘূণিঝড় অশনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে শুধু ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।