• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

৬৫ দিন সমূদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বেকার সামূদ্রিক জেলেদের প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে দেয়া হবে ৪০ কেজি করে চাল। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সফল হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে প্রত্যাশা মৎস্য বিভাগের।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে স্থানীয় বাজারে থাকবে ইলিশের আকাল। দামও চড়া থাকবে বলে ধারনা দিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে নিষেধাজ্ঞা সফল হলে ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে বাড়বে এবং তখন দামও কমবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

সমূদ্রে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারী করে সরকার। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৯ মে মধ্য রাত থেকে সমূদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারে শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ে সমূদ্রে মাছ শিকারে রয়েছে জেল-জরিমানার বিধান।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতিমধ্যে সমূদ্রগামী জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। মাইকিং, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সামূদ্রিক ফিশ ল্যান্ডিং স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে। নিষেধাজ্ঞা সফল হলে দেশে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সামূদ্রিক জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ভিজিএফ এর আওতায় তালিকাভূক্ত প্রতি জেলেকে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। ইতিমধ্যে বরাদ্দের চাল এসে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে রমজান মাস থেকে বরিশালের বাজারে ইলিশের আকাল বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামের আড়তদার মো. জহির সিকদার জানান, সামূদ্রিক ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অভয়াশ্রম ব্যতিত অন্য নদ-নদী থেকে আহরিত ইলিশ পাওয়া যাবে বাজারে। এই ইলিশ খুবই সুস্বাধু। তবে দাম চড়া। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে সাগর এবং অভ্যন্তরীন নদীতে আহরিত ইলিশে বাজার সয়লাব হবে এবং তখন ইলিশের দামও তুলনামূলক কমবে বলে প্রত্যাশা তিনি সহ অন্য আড়তদারদের।

বরিশাল জেলায় সরকারের তালিকাভূক্ত সামূদ্রিক জেলে আছে ১ হাজার ৮শ’ ২১ জন এবং বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় ৩ লাখ।