• আজ ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  | শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি: নাহিদ ইসলাম | কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ |

হাসপাতালে মৃত, বাড়ি নেওয়ার পর নবজাতকের কান্না

| নিউজ রুম এডিটর ৬:২৭ অপরাহ্ণ | জুন ৩, ২০২২ সারাদেশ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় হাসপাতালে এক নবজাতক কন্যাকে মৃত ঘোষণার পর বাড়ি নিয়ে এলে নবজাতকটি কান্না শুরু করে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পরে আবার দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অরণ্যপাশা গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে লাভলী বেগমের প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে হয় পাশের আচারগাঁও ইউনিয়নের নাখিরাজ গ্রামের মো. আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আব্দুল করিমের সঙ্গে।

স্বামী আব্দুল করিম জানান, অসুস্থতা বোধ করায় গত ২৭ মে তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালটির গাইনি বিভাগের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার বিকালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী। কিন্তু এ সময় কর্তব্যরত সেবিকারা নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে তাকে ওয়ার্ডে রাখা বালতিতে ফেলে রাখেন।

একপর্যায়ে নবজাতকটিকে মৃত হিসেবে পলিথিনে মুড়িয়ে একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে শক্ত করে বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ব্যাগ খুলে বের করতেই নড়তে থাকে নবজাতকটি। শুরু করে কান্না। তাকে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নবজাতকটি পথেই মারা গেছে।

করিম মিয়া বলেন, আমরা এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ বাড়িতে যান লাভলী বেগম। তিনি জানান, গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাকে প্রসূতি কক্ষে নিয়ে যান কয়েকজন সেবিকা। সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। অতিরিক্ত ব্যথা হলে একটি ইনজেকশন দেওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর সন্তান প্রসব হয়। বলা হয় মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দিন ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিলা লতিফ যুঁথি।

তিনি বলেন, ওই সময় আমি রাউন্ড ও অ্যাডমিশন ডিউটিতে ছিলাম। তবে ঘটনার পর খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ওই দিন লাভলী নামে নান্দাইলের কোনো রোগী ছিল না।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যভস্থা নেওয়া হবে।