• আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর বেরাইদ গ্যাস সংযোগের নামে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ আ. লীগ নেতার!

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | জুন ১৮, ২০২২ ঢাকা, লিড নিউজ, সারাদেশ

ঢাকা: তিতাস গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রাজধানী বাড্ডা থানার বেরাইদ এলাকার ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ উঠেছে বেরাইদ এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম বাড্ডা থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর উত্তর আ. লীগের সদস্য।

তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. বিপ্লব।

তিনি বলেন, আমরা বাড্ডা থানার বেরাইদ এলাকার বাসিন্দা। আমাদের বেরাইদ এলাকার প্রায় তিন হাজার মানুষকে তিতাস গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত পাইপ সংযোগ করে অবৈধভাবে প্রায় তিন হাজার পরিবারকে গ্যাস লাইন সংযোগ দেন। এ জন্য প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের লোক তাজম আলীর মাধ্যমে রশিদের মাধ্যমে প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

যখন আমরা জানতে পারলাম আমাদের তিতাস গ্যাসের লাইন সংযোগ অবৈধ, তখন জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন অবৈধ গ্যাস লাইন দেওয়া হলো? তখন তিনি আমাদের বলেছেন, অবৈধ গ্যাস লাইন বৈধ করে দেওয়া হবে। তিনি সেটি না করায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আমাদের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে করে আমরা এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছি।

গ্যাস লাইন সংযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আমরা দুর্নীতিবাজ সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।

সরকারের কাছে বেরাইদ এলাকার তিন হাজার পরিবারকে বৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দেওয়ার অনুরোধও করেন ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মো. সফি মিয়া, আতাউর রহমান প্রমুখ।