• আজ ২৪শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ | সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি | দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে তিন বিভাগে | সত্য সংবাদ প্রকাশে বিদেশি গণমাধ্যমের মিথ্যার ওপর চুনকালি পড়বে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ | জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা | ভারতের সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়: মোদি | বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন | শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোসহ মোদির সঙ্গে যেসব বিষয়ে কথা হলো ইউনূসের | হলে-মেসে থাকা উপদেষ্টারা এখন পরেন ৪০ লাখের ঘড়ি: বরকত উল্লাহ বুলু |

এটুকু সান্ত্বনা আকবরের চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হয়নি: হানিফ সংকেত

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৩১ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১৩, ২০২২ বিনোদন

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আকবর রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গায়ক আকবরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে। সংগীতের পাশাপাশি নাটক-সিনেমার তারকারাও শোক জানাচ্ছেন এই গায়কের মৃত্যুতে।

গায়ক হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর, পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে স্টেজ শোতে গান গাইতেন। বহুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির নির্মাতা ও নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত ২০১৩ সালে দেশবাসীর কাছে আকবরের গানের প্রতিভা সর্বপ্রথম তুলে ধরেন। ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি গেয়ে পরিচিতি পান আকবর। ‘ইত্যাদি’তে এ গান তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে। এরপর ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি দেশ-বিদেশের দর্শক-শ্রোতার কাছে তাকে পরিচিত করে তোলে।

পরবর্তীতে আকবরের জীবনে শারীরিক অসুস্থতার ঝড় বয়ে যায়। দুঃসময়ে সবসময় তার পাশে থেকেছেন হানিফ সংকেত। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন আকবর। সকলকে কাঁদিয়ে আজ মারা যান তিনি।

আকবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন হানিফ সংকেত। ফেসবুকে এক পোস্টে হানিফ সংকেত বলেন, আজ দুপুরে আকবরের স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে অঝোরে কাঁদছিলো, বললো- ‘আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গ্যাছে’। ফোনটা যখন পাই তখন আমি রংপুরে পরবর্তী ইত্যাদির জন্য একটি প্রতিবেদন ধারণ করছিলাম। ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম আকবর আর নেই। কারণ বেশ কিছুদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিলো না। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিলো। নিয়মিত খোঁজ রাখছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিলো। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস-সবকিছু মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ছিলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে জীবনের কঠিন সত্য মৃত্যু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তবে এটুকু সান্ত্বনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আকবরের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিলেন। এছাড়াও অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

ফেসবুকে হানিফ সংকেত আরো জানান, আকবরের সংগীত জীবনের উত্তরণের পথটা সহজ ছিলো না। ২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে অনেকটা একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আকবর খুব বেশি গান করেনি। তবে যে কটা করেছে তা সব প্রজন্মের শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে গ্যাছে-যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক দিন। আকবরের এই অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আকবরের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

দুই বছর ধরে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনি, রক্তের প্রদাহসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন আকবর। দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় তার শরীরে পানি জমে ডান পা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই পা কেটে ফেলা হয়। পা কাটার পর তার কিডনি ও লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ নভেম্বর দুপুরে তাকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৯ নভেম্বর ভোরে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি এই গায়কের।