

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা জেলার সাভারেও দেশের অন্যান্য জায়গার মতো হিজড়া সম্প্রদায়ের বসবাস ও বিস্তার রয়েছে। সমাজের এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলি নানাভাবে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। বর্তমানে সরকারও চেষ্টা করছে এই সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার। সরকারের কৃপা দৃষ্টিকে পুঁজি করে এ সম্প্রদায় জনমানুষকে অভিনব কায়দায় কিংবা দৃষ্টিকটু অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আর তাদের তৈরিকৃত অস্বস্তিকর পরিবেশে যে কেউ হয়ে পড়ে অসহায়। সড়ক, মহাসড়ক কিংবা হাট-বাজার থেকে বাসা বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এই সম্প্রদায়ের দৌরাত্ম। তাদের নবআবিষ্কৃত কায়দা হচ্ছে বিয়ে বাড়ি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান। যেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানেই হাজির হচ্ছে এই সম্প্রদায়।
ইদানিং সাভারে হিজরাদের ততপরতা বেড়েই চলেছে। তাদের ধৃষ্ঠতম ঔধ্যত্যের কাছে হার মানছে সাধারণ মানুষ।
দিনে দুপুরে জনসম্মুখে শুরু হয় তাদের চাঁদাবাজী। মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে সিএনজি, প্রাইভেট কারসহ প্রায় সব রকমের প্রাইভেট গাড়ি থামিয়ে তারা চাঁদাবাজী করে। তাদের চাঁদাবাজীর মূল টার্কেট বিয়ের অনুষ্ঠান।
সরজমিনে দেখাযায় সাভার বাস সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে দুইজন হিজড়া ওঠে পড়ল বাসে। উঠেই যাত্রীদের কাছে চাঁদাবাজি শুরু করল।
বাসে থাকা প্রত্যেক যাত্রীদের কাছে টাকা দাবি করে। না দিলে যাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেয়। কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই গায়ে হাত দেয়, অসভ্য আচরণ করে। মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই টাকা দিতে বাধ্য হন। এই পথে চলাচলকারী বাস যাত্রীদের কাছে হিজড়াদের টাকা আদায় এখন রীতিমতো উৎপাতে পরিণত হয়েছে।
এলাকায় বিয়ে বাড়ি কিংবা কমিউনিটি সেন্টার গুলিতে হিজরাদের চাঁদাবাজী প্রতিনিয়ত। শুরু হয়। সর্বনিম্ন হাজার টাকা আদায় করে দলবদ্ধ ভাবে হিজরা।
বিয়ের কথা শুনলেই বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয় এই হিজরাদল, দাবী করে মোটা অংকের চাঁদা। যদি চাঁদা দিতে অস্বিকার বা বাধা প্রদান করেন তখনই হিজরারা অশ্লিল আচরণ করে এবং নিজে নিজে উলঙ্গ হয়ে যায়।
বরের সাথে থাকা ছোট-বড় ভাই, বোন বা অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের সামনে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। লজ্জ্বা-সরমে দিতে হয় তাদের চাহিদা মতো চাঁদা। আর যতক্ষণ পর্যন্ত চাঁদা না দেওয়া হয় ততক্ষন পর্যন্ত বরের সামনে থেকে হিজরারা সরে না। তাদের চাহিদানুযায়ী চাঁদা দিতে হয় বর পক্ষকে।
এতে কেউ প্রতিবাদ করায় সাহস পায় না। এটা এক প্রকার নির্যাতন বটে বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও সচেতনমহল। সাভাবিকভাবেই হিজরাদের সাহায্য করে থাকে সাধারণ মানুষ, তাই বলে কমিউনিটি সেন্টার, গাড়ির ভিতরে জোর জবরদস্তি করে চাঁদা আদায় করাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। এই ব্যপারে যথাযত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
সংবাদ সংগ্রহ অনুসন্ধানের সময় স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা বললেন এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি না আসলে দেশ একদিন হিজরা জাতিতে পরিণত হয়ে যাবে যা দেশের ভাবমূর্তি অর্থনৈতিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।