![](https://peoplesnews24.com/wp-content/uploads/2023/07/IMG-20230723-WA0032.jpg)
![](https://peoplesnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জাল জালিয়াতি করে জমাজমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। গত শুক্রবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খোদাতপুর গ্রামের কলোনী এলাকার মৃত আলতাব আলী ফকিরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৮০), এক ছেলে আলমাছ আলী (৫১) ও ৩ মেয়ে হাসনা বেগম (৫৫), মরিয়ম বেগম (৪৭) ও আঞ্জুয়ারা বেগম (৪৬) বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪২), তার স্ত্রী, বোন ও গ্রামের আফছার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, খোদাতপুর মৌজার ৩৪৭ নং খতিয়ানভুক্ত ৫১০ ও ৫১১ নং দাগে ১ একর জমি এসএ রেকর্ডিও মালিক রাম হেমরমের নিকট হতে গত ৩ জুন ১৯৬৫ সালে ৫৯০৯ নং কোবলা দলিলমূলে প্রাপ্ত হন আলতাব আলী ফকির।
খারিজ খাজনার সুবিধার্থে ৫২০ নং খারিজ খতিয়ান খুলে ভোগদখল অবস্থায় থাকাকালে তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশগণ ভোগদখল করিতে থাকেন। তফশিল বর্ণিত জমি ইতিপূর্বে অংশীদারদের মধ্যে বন্টন হলে কিছু অংশীদার তাদের অংশের কিছু জমি বিক্রি করেন। এমতাবস্থায় গত ১৫ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে তফশিল বর্ণিত জমিতে হালচাষ করতে গেলে অপর ওয়ারিশ মৃত আশরাফ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন সহ বিবাদীরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সাব-রেজিঃ অফিসে ২০ মার্চ ১৯৮৩ সালে ৫০১০ নং একটি ভুয়া ও জাল জালিয়াতি করে তৈরিকৃত একটি দলিল প্রদর্শন করে চাষাবাদে বাধা প্রদান করে।
এ সময় বিবাদীগণ বিভিন্ন প্রকার গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উক্ত নম্বরের দলিল তল্লাশি করলে দলিলে তাদের কোনো নাম পাওয়া যায়নি। উল্লেখিত নম্বরের দলিলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের দাতা অমিতন নেছা ও গ্রহীতা লুতফর রহমান গংদের নাম উল্লেখ রয়েছে। বিবাদীরা বাদীপক্ষের অংশের তফশিল বর্ণিত জমি অবৈধভাবে আত্মসাতের নিমিত্তে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, দাখিলকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।