• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

কালীগঞ্জে লক্ষাধিক মানুষের নড়বড়ে সাঁকো, চরম দুর্ভোগ

| নিউজ রুম এডিটর ৫:১৫ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৮, ২০২৪ লালমনিরহাট, সারাদেশ
আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান (কদমতলা) এলাকায় বয়ে যাওয়া ভ্যাটেশ্বর নদী ওপর ৫৩ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু। ফলে দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। কিন্তু এখন সেটিও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এতে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান (কদমতলা) এলাকায় ব্রীজ না থাকায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাগর ওপর দিয়ে তাদের পারাপার হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রীজের জন্য দিন গুনছেন কদমতলা এলাকার মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়।  স্থানীয় পর্যায়ে ভোট আসে, ভোট আবার চলেও যায়। অনেক প্রতিনিধি আসেন প্রতিশ্রুতি দেন, ভোট নিয়ে চলে যান কিন্তু ব্রীজটি  আজও বাস্তবায়ন করেননি কেউ। মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে ভুলে যান কে কবে কথা দিয়েছিলেন এই কদম তলায় একটি ব্রীজ দেবেন।
রাসেল, রুবেল, আনোয়ার, রবিউল নামে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে আমরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসি। সাঁকো পারাপারে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের বাঁশের সাঁকো পার হয়। এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি আমাদের অনেক দিনের।
কদমতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কেউ যদি রাতের বেলা অসুস্থ হয় তাহলে তাকে মেডিকেলে নেয়া সম্ভব হয় না।
কদমতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। নদীর ওপারে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সবাই বলে সেতু হবে, কিন্তু হয় না। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না। জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি।’
বারাজান ( ৮নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ জানান, একটি সেতুর জন্য প্রতিনিহিত কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখানে একটি সেতুটি খুব জরুরি।
চলবলা  ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, এই একটি সেতুর জন্য দুই গ্রামের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চলবলা ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক গ্রামের  মানুষ এখন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এখানে একটি সেতুটি খুব জরুরি।