

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সৈরাচার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা পর্যন্ত আন্দোলন সমূহে ছাত্র সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হয় ছাত্র জণতার আন্দোলন। ছাত্রসমাজের সেই বৈপ্লবিক আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা থেকে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোঃ শিহাব হোসেন,কায়েস বিষু,ইয়ামিন আয়মান,জুয়েল শেখ,মোহাম্মদ রনি, রাকিব হোসেন,ফয়সাল শিকদার,হাসনাত রাফু,জাহিদুল আরমান,নাহিদা আক্তার, সজিব আহমেদ, ইয়াহিয়া সালভী,ইব্রাহিম শিকদার, তোফায়েল মুন্সী, মারুফ বেপারী,তানজিল মাদবর, আকিব বেপারী উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মত বিনিময় করেন। সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে নানা বিষয়ে মতামত গ্রহণসহ সুষ্ঠ ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গঠনে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করে নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী এমন একটি চক্রের তথ্য তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র বালুচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে বালুচর চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ও শ্লোগানের মধ্য দিয়ে ঘন্টা ব্যপী আন্দোলন করে ছাত্ররা। ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, বালুচর ও লতব্দী ইউনিয়নের ইয়াহিয়া সালভী,শিহাব,জিহাদ রায়হান,আর.এস ফয়সাল,কায়েস বিষু।গত ৫ আগষ্টের পর আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা খানিকটা ঝিমিয়ে পরলে সিরাজদিখান উপজেলার একটি চক্র নিজেদের ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে কতিপয় এক ছাত্র নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে ৫ বস্তা আলু দাবী করেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে চক্রটি নিজেদের ছাত্র সমন্বয়ক দাবী করে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরিন নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছিলো। আর ওই চক্রের নেতৃত্ব সিরাজদিখানের অপেশাদার এক নামধারী সাংবাদিক দিয়ে আসছিলো মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজদিখান উপজেলার নেতৃত্ব দেওয়া মোঃ শিহাব মুঠোফোন জানান, আসলে আমরা যারা আন্দোলন করেছি তারা তেমন ভাবে কারো সাথেই বসি নাই। বলতে পারেন অনেকটা নিরবেই ছিলাম। তবে এখন থেকে সকলের সাথে বসা হবে। আজকে আমরা যারা ইউএনও স্যারের সাথে বসেছি মূলত তারাই সিরাজদিখান আন্দোলন করেছি। আমাদের বাইরে কেউ আন্দোলন করে নাই। যদি কেউ নিজেদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা দাবী করে তাদের ব্যপারে আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিবো। অলরেডি এটা নিয়ে স্যারের সাথে আজকে কথাও হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, না না সাংবাদিকদের অভ্যন্তরিন বিষয়ে আমাদের নাক গলানোরতো কোন প্রশ্নই আসে না। আর আমাদের কেউ সাংবাদিকদের ব্যপারে নাক গলাতে যায়ও নি।