• আজ ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় | ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন ড. ইউনূস | পতেঙ্গা সৈকতে গোলাগুলি, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবর গুলিবিদ্ধ | ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: রিজওয়ানা | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের সাক্ষাৎ, যে সব কথা হলো | দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম | ৭ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ | সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি | তথ্য গোপন করায় ফেঁসে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা | আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক |

দুই ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

| নিউজ রুম এডিটর ৩:০৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ৮, ২০২৫ অপরাধ-দুর্নীতি, বাংলাদেশ

 

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নালিতাবাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে আদালতে। আজ সোমবার নালিতাবাড়ীর সিআর আমলি আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন গোলাপ হোসেন নামে শ্রীবরদী উপজেলার এক ব্যবসায়ী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে আদালতের মাধ্যমে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে কিনে নেয় শ্রীবরদী উপজেলা ব্যবসায়ী গোলাপ হোসেন। নিলামে বিক্রয় করা বালু গোলাপ হোসেনকে বুঝিয়ে দিতে ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। পরবর্তীতে মাসুদ রানা বদলি হয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলে গেলে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমানকে চাঁদার ওই টাকা না দিলে বালু বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী গোলাপ হোসেন।

আজ সোমবার নালিতাবাড়ীর সিআর আমলি আদালতে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমানকে বিবাদী করে ৬ লক্ষা টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী গোলাপ হোসেন। পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী গোলাপ হোসেন বলেন, ‘আমি বালু নিলামে ক্রয় করে নেওয়ার পর থেকেই ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আগের ইউএনও মাসুদ রানা সাহেব। আমি টাকা না দেওয়ায় আমাকে বালু বুঝিয়ে না দিয়ে বদলি হয়ে চলে যায়। বর্তমান ইউএনও ও এসিল্যান্ড সাহেবও টাকা ছাড়া বালু দিচ্ছে না। তাই আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক আধার বলেন, ‘আমার মওয়াক্কেল নিয়ম মোতাবেক নিলামে বালু নিয়েও চাঁদার টাকা না দিতে পারায় বালু বুঝিয়ে পায় নাই। এতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা আদালতে মামলা করেছি। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।’