• আজ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেককে আনন্দিত করেছে’ | মাঝ পথে থেমে গেলো কক্সবাজারগামি পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন | ইসরাইলে ৪ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, পাঠিয়েছে শত শত ড্রোন | ইরান কখনো পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি | আ.লীগকে নেব না, ভালো মানুষদেরও বাদ দেব না: মির্জা ফখরুল | সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে পাকিস্তান, ইসরাইলকে কড়া হুঁশিয়ারি | মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠক করলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস | ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলের হামলা, ভিডিও প্রকাশ! | ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান | সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা |

মেধাবী আলালের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

| নিউজ রুম এডিটর ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ | জুন ২২, ২০২৫ আইন ও আদালত, লালমনিরহাট

 

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়ার সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন আলাল হোসেন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বান্দেরকুড়া এলাকার এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা। তিনি আলালকে রাবিতে ভর্তির ফি বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ইউএনও জাকিয়া সুলতানা আলাল হোসেনের হাতে এই অর্থ তুলে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, আলাল হোসেন একজন অদম্য মেধাবী ছাত্র। কোনো প্রতিকূলতাই তাকে দমাতে পারেনি। অর্থাভাবে রাবিতে ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি নজরে আসার পরপরই উপজেলা প্রশাসন থেকে তাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলালের পড়াশোনার সময় যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তার পাশে থাকবে।

জাকিয়া সুলতানা আলালকে সমাজের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হার না মেনে কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সে সাফল্য অর্জন করেছে।

আলালের প্রতিবেশী সিফাত বলেন, “তিন ভাই-বোন সারাক্ষণ বই নিয়ে থাকে। অভাব-অনটনের মধ্যে কোনো রকম খেয়ে পড়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকত। নিজে নিজে পড়াশোনা করে রাবিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।”

আলাল হোসেন জানান, রাবিতে ভর্তির জন্য প্রাইভেট পড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। উপবৃত্তির টাকা দিয়ে পরীক্ষার বই কিনে পড়াশোনা করেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তিনি ৬৫ নম্বর পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই মেধা আর পরিশ্রমকে সঙ্গী করে অভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আলাল বলেন, তার বাবা সবসময় তাকে স্বপ্ন পূরণের জন্য যত কষ্টই হোক, এগিয়ে যেতে বলেছেন।

আলাল জানান, তিনি শিয়ালখোওয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিক শাখায় জিপিএ ৪.৩৩ এবং নামুড়ী মহাবিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫০ পেয়েছিলেন।

আলালের বাবা কাছুম আলী বলেন, “আল্লাহর রহমতে আলাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ছেলেকে কীভাবে ভর্তি করব আর পড়াশোনার খরচ চালাব, তা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। প্রয়োজনে ঋণ করেও ছেলেকে ভর্তি করানোর কথা ভাবছিলাম। ঠিক তখনই ইউএনও স্যার আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।