• আজ ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

গাইবান্ধায় ছোট ভাইকে হত্যায় বড় ভাই কে মৃত্যুদন্ড

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২ গাইবান্ধা, সারাদেশ

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার হত্যা মামলার রায়ে ঘোষণা করেছে গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। আজ ১০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করে। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম তানজির আহমেদ। তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের সাবু মিয়ার বড় ছেলে। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পলাশবাড়ী থানার তৎকালিন এস আই ও বর্তমান গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই সঞ্জয় কুমার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ তানজিরের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।’ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে সৃর্ষ্টির জন্য ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গাইবান্ধায় এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী ২০২০ সালের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে শাওন হাসান (৩৭) নামে এক যুবকের মরদেহ উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাওন একই গ্রামের সাবু মিয়ার ছেলে। শাওন কোমরবাজারে দীর্ঘদিন ধরে মনোহরী দোকানে ব্যবসা করে আসছিলেন। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত থেকে শাওনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোজাখুজির এক পর্যায়ে ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ভগবানপুর-কোমরপুর বাজার এলাকায় মৃত আজিজার রহমানের বাড়ির কাছের একটি বায়োগ্যাস প্লান্টের পাশে রক্তের দাগ দেখতে পায় তার স্বজনরা। রক্তের দাগ বায়ুগ্যাস প্লান্ট পর্যন্ত গেলে প্লান্টের ভেতর খোঁজ করে শাওনের লাশ দেখতে পেয়ে তারা পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশটি ইট দিয়ে চাপা দিয়ে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এরপর অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই বেনজীর আহম্মেদ।

এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে হত্যাকারী সনাক্ত পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় মোবাইলের কল রের্কডের সূত্র ধরে নিহত শাওনের আপন বড় ভাই তানজির আহম্মেদ কে হত্যাকারী হিসাবে সনাক্ত ও হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে তদন্ত কর্মকর্তা পলাশবাড়ী থানা পুলিশের এস আই সঞ্জয় কুমার। এরপরে আদালতে চুড়ান্ত চার্জশীট দাখিল করে থানা পুলিশ। একটি হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রামাণের ভিক্তিতে দ্রুত রায় প্রদান করায় আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।