• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজ ক্ষমতায় যুবককে গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

| নিউজ রুম এডিটর ৭:১০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ ঠাকুরগাঁও, সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: গ্রাম্য আদালতকে অমান্য করায় পজির উদ্দীন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৫নং দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সোহেল রানার বিরুদ্ধে। তবে একজন ইউপি চেয়ারম্যান কাউকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন কিনা এনিয়ে এলাকায় আলোচনাও সমালোচনার ঝড় বইছে।

গত বৃহস্পতিবার ( ৩ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রাম পুলিশ এন্তাজুল ইসলামকে এ আদেশ দেন ওই চেয়ারম্যান।

জানাযায়, ওই ইউনিয়নের বেংরোল জিয়াবাড়ি এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে মাসুদা আক্তার (২৩) গত মাসের ২৫ জানুয়ারি স্বামী পজিরউদ্দীনের বিরুদ্ধে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। গত (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রাম আদালতে পজির উদ্দীনকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য চেয়ারম্যান সোহেল রানার সিল-স্বাক্ষরযুক্ত ভুলে ভরা একটি আদেশ পত্র তাকে পাঠান। কিন্তু পজির হাজির না হয়ে ডাকযোগে স্ত্রী মাসুদা আক্তারকে তালাকের নোটিশ চেয়ারম্যানকে পাঠান। এতে গ্রাম আদালতকে অমান্য করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান পজিরউদ্দীনকে গ্রেফতার করে আনার জন্য গ্রাম পুলিশকে আদেশ দেন। পরে গ্রাম পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করতে যায়। সে আসতে না চাইলে তারা তাকে মারধর করেন। এবং চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পজির উদ্দীনকে চেয়ারম্যান সোহেল রানা মুঠোফোনে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীত ও হুমকি দেন।

এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যান সোহেল রানা যা ইচ্ছা তাই করছে। কেউ কথা না শুনলে হুমকি দেন। চৌকিদার দ্বারা হয়রানী ও নির্যাতন করেন। একজনের সমস্যা থাকতে পারে। তাই বলে কি তিনি চৌকিদার দিয়ে রাত-দিন হয়রানী-নির্যাতন করবেন। আর একজন চেয়ারম্যান কিভাবে চৌকিদারকে গ্রেফতারের আদেশ দিলেন।

ভুক্তভোগী পজির উদ্দীন বলেন, আমাকে গত বৃস্প্রতিবার গ্রাম আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আমি সময় মতো হাজির হতে পারিনি বলে চৌকিদার দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তিনি। আর এই নোটিশ ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান আমাকে ফোনে নানান ধরনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমি ওনাদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারি না।

ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মোঃ ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাউকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন কিনা সেই আইন আমার জানা নেই। তবে তিনি আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে পারেন। গ্রেফতারেরে আদেশ বিজ্ঞ আদালত ও থানা পুলিশ দিতে পারেন। ইউপি চেয়ারম্যান নয়।

এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা আমার ইউনিয়ন। কিভাবে পরিষদ চালাতে হয় আর কাকে গ্রেফতারের আদেশ দিবো কাকে দিবো না এটা একান্ত্যই আমার ব্যাপার।

এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাঃ যোবায়ের হোসেন বলেন, আমি ৪/৫/দিনের ছুটিতে আছি। এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।