• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

১০ টাকার জন্য স্কুলছাত্রকে গলাকেটে হত্যা

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৭ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ লিড নিউজ, সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাত্র ১০ টাকার জন্য ইয়ামিন হোসেন (৭) নামে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
১০ টাকার জন্য স্কুলছাত্রকে গলাকেটে হত্যা

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ইয়ামিন হোসেন উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে এবং কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি। সে তার নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় কানাইডাঙ্গা-বৃত্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ইয়ামিন হোসেন, ইমনসহ বেশ কয়েক জন মিলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ইয়ামিন ও ইমনকে চানাচুর কিনতে ৩০ টাকা দেয়। ইয়ামিন ও ইমন ১০ টাকার কম চানাচুর কিনে নিয়ে আসে। এতে জাহিদ হাসানসহ তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ামিনকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে কাঠের বাটাম দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র (হাসুয়া) দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর তার মরদেহ গ্রামের একটি আম বাগানে লুকিয়ে রাখে।

পরে ইমন বাড়ি ফিরে বিষয়টি ইয়ামিনের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতারের মর্গে পাঠায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, পুলিশ হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।