• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কোচ-নির্বাচকদের মানসিকতা ভালো হওয়া জরুরি’

| নিউজ রুম এডিটর ৮:০৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ খেলাধুলা, লিড নিউজ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল জাতীয় দলের সঙ্গে দেশি কোচ রাখার নিয়ম চালু করেছিলেন।

২০১০ সালে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনকে। জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে কাজ করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

কিন্তু মোস্তফা কামালের পরবর্তী সময়ে দেশি কোচদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। দেশি কোচদের শেখার সুযোগ করে দিতে এখন থেকে জাতীয় দলে নিয়মিতই দেশি কোচ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

আসন্ন আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ফিল্ডিং কোচ হিসেবে রাজিন সালেহকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঢাকা লিগে প্রাইম ব্যাংক দলের সঙ্গে চুক্তি থাকায় আফগান সিরিজে থাকতে পারছেন না রাজিন। তাকে পাওয়া যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে।

দেশি কোচদের নিয়ে বোর্ডের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক অহমেদ।

১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, রাজিন সালেহ ইজ এ গুড হিউম্যান বিং। এটা খুব দরকার, যারা কোচিং বা সিলেকশনে আছে তাদের একটু মানসিকতা ভালো হওয়া জরুরি। ওই দিক থেকে রাজিন সালেহ খুবই ভালো সিলেকশন। সে খুবই পরিশ্রমী। আমি মনে করি বাংলাদেশ টিমে দীর্ঘ সময়ের জন্য লোকাল কোচ রাখা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে মনে হলো বলেই যে দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া, এমন যেন না নয়। আমি বলব দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া উচিত। যারা ভালো করছে তাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে উন্নতি সাধনে বিদেশি কোচদের সঙ্গে রাখা উচিত। বিদেশি কোচদের সঙ্গে থাকলে আমাদের লোকাল কোচরা শিখতে পারবে।

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, আপনি দেখেন শাহরিয়ার নাফীস, নাফিস ইকবালদের নিয়েও বোর্ড কাজ করছে। বোর্ড যেহেতু এদের দেখভাল করছে আমার বিশ্বাস ওরা ভালো করবে। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে ফরমার প্লেয়ার হলেই যে কোচিংয়ে এসে ভালো করবে তা কিন্তু নয়!