• আজ ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: রিজওয়ানা | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের সাক্ষাৎ, যে সব কথা হলো | দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম | ৭ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ | সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি | তথ্য গোপন করায় ফেঁসে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা | আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক | রাতে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা | অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়’ | বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের |

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার দূরাবস্থা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের পকেট কাটতে ডাক্তারদের রমরমা ব্যবসা

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৪৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ কুড়িগ্রাম, রংপুর, সারাদেশ

মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষমান রোগীদের দীর্ঘ সারি। দুপুর ১২টায় তালাবদ্ধ ডাক্তারদের সরকারি চেম্বার।
অফিস চলাকালীন সময়ে স্থানীয় ক্লিনিক/ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের পকেট কাটতে, ডাক্তারদের রমরমা ব্যবসা চলছে দেদারছে। সেবার নামে প্রতারণা অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

হাসপাতালে গেলেই রোগীকে প্রেসক্রিপশন ধরে দেয় বাইরে থেকে ঔষধ কেনার জন্য। কর্তব্যরতরা জানায়, এই ঔষধ হাসপাতালে নেই। রোগীরা বাধ্য হচ্ছে বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে। শিশু ওয়ার্ডে আজ এক ব্যক্তি তার সন্তানকে ভর্তি করতে যায়। স্যালাইন দেয়ার জন্য হাতে লাগানো কেনুলাটা সেই রোগীকে বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনতে হয়।
কেনুলা তো সরকারি বরাদ্দ থাকার কথা? উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক নার্স অকপটে বলে ফেলেন-এই কেনুলা ভালো না (নিম্নমানের) তাই বাইরে থেকে আনলে রোগীর জন্য ভালো হতো।

হাসপাতালে আসা অনেক রোগী অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোটি টাকার পিসি দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এক জেলা নেতা কাজ নিয়েছেন। তাই মানসম্মত ঔধষ এখন এজন্যই আমরা পাচ্ছি না। এটা কুড়িগ্রামবাসীর দুর্ভাগ্য।

বর্হিবিভাগে আসা রোগীরা জানায়, হাসপাতাল এসে দেখবেন প্রতিনিয়ত দুপুর ১২টা না বাজতেই তাদের চেম্বারে পাওয়া যায় না। আবার কোন কোন সময় পাওয়া গেলেও রোগীকে ব্যক্তিগত চেম্বারে আসতে বলেন। ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে দেখবেন বড় করে লেখে ভিজিট ৫০০/৬০০/৭০০ টাকা। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা ব্যক্তিগত চেম্বারে ৬০০/৭০০ টাকা ভিজিট নেয়াটা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করা কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কতটা বেগতিক যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন হতাশাব্যাঞ্জক কথা এখন কুড়িগ্রামেন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।

নাগরিক অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ হোক স্ব স্ব অবস্থান থেকে। প্রতিবাদের স্লোগান তুলি একসাথে।