আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করেছে। ফলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ জুন) বিকাল ৪ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
সোমবার ভোর থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচে থাকলেও সকাল ৯ টার পর থেকেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি ও জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা, ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পলি ও বালু জমে তিস্তা ভরাট হওয়ায় সামান্য পানির প্রবাহ লোকালয়ে ঢুকে বন্যার সৃষ্টি করে। তবে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানির প্রবাহ রাত থেকে বাড়তে থাকে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি কমে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, বন্যা কবলিত জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার তা বিতরণ শেষ হয়েছে। বন্যা কবলিত যেসব এলাকা আছে সেগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।