

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৬টায় তিস্তার
পানি সমান সমান- ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ছে তিস্তার দু’পাড়। দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। অনেকেই বসতবাড়ি, আবাদি ফসল, মৎস্য খামার হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নদী তীরবর্তী ৫ হাজার পরিবারে অন্তত প্রায় ২০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হঠাৎ এ বন্যার কারণে পানিবন্দী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অন্যদিকে চরগুলোর সঙ্গে জেলা ও উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানির প্রবাহ সোমবার সকাল থেকে ৬ টা থেকে বাড়তে থাকে। দুপুর হতে হতে ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিস্তার
পানি সমান সমান- ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি কমে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, বন্যা কবলিত জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার তা বিতরণ শেষ হয়েছে। বন্যা কবলিত যেসব এলাকা আছে সেগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।