• আজ ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তা খাল-খন্দে ভরা

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৩৬ অপরাহ্ণ | জুন ৩০, ২০২২ ঠাকুরগাঁও, সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তার ঢালাই উঠে গিয়ে খালখন্দে পরিণত হয়েছে। সামন্য বৃষ্টিতেই ডুবে থাকে সড়কগুলো। পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ করা হলেও এসব রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশরই খাল-খন্দে ভরা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনেও রাস্তাগুলো সংস্কার না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারীসহ স্থানীয়রা।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সূত্রে মতে, পৌরসভার আওয়াতায় রয়েছে ১৩৫কিলোমিটার রাস্তা। এরমধ্যে পাকাকরণ করা হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার। আরো ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো পাকা করণে বাকি রয়েছে।

বৃস্প্রতিবার (৩০জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের চৌরাস্তা থেকে কালিবাড়ী হয়ে সত্যপীর ব্রীজ, সেনুয়া, গোয়ালপাড়া,জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সড়ক, জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়ক, হাজীপাড়া, আশ্রমপাড়া, শাহাপাড়া, ঘোষপাড়া, নিশ্চিন্তপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি মহল্লার প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর এতোটাই বেহাল যে সামন্য বৃষ্টিতেই পুরো রাস্তা পানিতে ডুবে থাকে। দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা গুলোর পিচ উঠে গিয়ে যেখানে সেখানে ছোট বড় অসংখ্য খালখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার বড় বড় খালখন্দ ও গর্ত গুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ২০ বছর আগে রাস্তাগুলো পাকাকণ করা হয়েছিলো। কাজের কিছু যে না যেতেই রাস্তার ঢালাই উঠে যায়। এর পর আর কোন কাজ হয়নি। বর্ষা এলেই রাস্তাগুকোতে হাঁটু সমান পানি জমে তাকে। রাস্তা ঠিক মেরামত বিষয়ে পৌর- মেয়র ও কাউন্সিলরকে বহুবার লিখিতভাবে বলা হলেও আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। এখন বলতে গেলে তারা বলে বরাদ্দ না থাকলে কি আমরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাস্তা সংস্কার করব। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যায় না। রিক্সা, সাইকেল ও গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা এলজিএসপি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই প্রকল্পে থাকছে, রাস্তা, ড্রেন, লাইটিং ব্যবস্থা ও ফুটপাত তৈরি। এই প্রকল্পে প্রধান, প্রধান সড়কগুলো সংস্কার করার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এর কাজ শুরু করতে পারব।