মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রেমের অভিনয় করে চাকুরীজীবি এক নারীকে ধর্ষণ ও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি ওই তরুণী। বিয়ের দাবি নিয়ে ওই যুবকের বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে শারীরিক নির্যাতন করা তাকে। এখন বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিরুপায় তরুণী।
জানা গেছে, জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের কন্যা রুপসী খাতুন (২১) ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করাকালীন ফেসবুকে পরিচয় হয় একই এলাকার পীর মামুনের পুত্র আব্দুর রহিমের সাথে। এরই সুযোগ নিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহিম রুপসীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে ৫ বছর বিভিন্ন স্পটে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং রুপসীকে খুব শীঘ্রই বিয়ে করবে মর্মে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও বিয়ের ব্যাপারে নানা টালবাহনা শুরু করে ওই যুবক। রুপসী বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আব্দুর রহিম। পরে ওই তরুণী বিয়ের দাবি নিয়ে বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে একাধিকবার এলাকায় শালিস বৈঠকেও বিচার না পেয়ে উলিপুর থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতিারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। থানায় অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মগোপন করে ওই প্রতারক যুবক। পারিবারিকভাবেও ওই তরুণীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় ওই প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহিমের পরিবার।
এরই প্রেক্ষিতে আজ ১ অক্টোবর সকালে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক আব্দুর রহিমের বাসায় গেলে রুপসী খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে আব্দুর রহিমের ভাই-ভাবী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এ ব্যাপারে কথা হলে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবীর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলের পরিবারকে বলেছি আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপস্থিত হতে। কিন্তু সেই আল্টিমেটাম তারা মানে নাই। তাই যে কোন মহুর্তে তাকে গ্রেফতার করা হবে।