• আজ ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জের ৩ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

 

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৩ টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে সাড়ে ৯ টায় উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়ায় ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।

স্থানীয়রা জানায়, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট আহলে হাদিস জামে মসজিদ ও বোতলা এলাকার মসজিদে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করা হচ্ছে।

মুন্সিপাড়া ঈদগাহ মাঠের সভাপতি কায়দে আজম জিন্নাহ বলেন, “বিশ্বের সব মুসলমান একই দিনে ঈদ উদযাপন করবে—এটাই আমাদের বিশ্বাস। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবেকদর, শবে মেরাজসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। আমরা কোরআন হাদিসে বিশ্বাসী।

ঈদগাহের ইমাম ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, কোরআন হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি পৃবিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ দেখা গেলে মুসলিম উম্মাহ সিয়াম পালন করবে, সালাত আদায় করবে,ঈদ পালন করবে এবং কুরবানি করবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের এসব বোঝার তৌফিক দান করুক। আমি এই মাঠে এবার প্রথম ইমামতি করলাম। এর আগে কয়েজন ইমাম ছিল। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করেই আমরা প্রতিবছর ঈদ উদযাপন করি এবং এতে কোনো সমস্যা হয়না। আমরা কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদ পালন করি, তাই আমাদের মতে, সবাই এভাবেই ঈদ উদযাপন করলে আনন্দ আরও বৃদ্ধি পেত।

ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি রিপন আলী বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। পৃথিবী একটি, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহিয়ওয়া সল্লাম একজন। তাই একই দিনে ঈদ পালন করা উচিত।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানায়,“অনেক আগে থেকেই এসব এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে তারা। নামাজের সময় মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।