ছয় মাসের জন্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বিসিবির সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। বিশেষ করে জালাল ইউনুস ভাইয়ের সঙ্গে। আমি মনে করছি আগামী ছয় মাস টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাববো না। এ সময়টায় দলের হয়ে যারা খেলবে তারা ভালোই করবে। আমার দরকার পড়বে বলে মনে হয় না।’
তামিম যে টি-টোয়েন্টিতে খেলতে চান না তা ২২ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পরে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘কেউ যদি না চায় তাকে তো চাপ দেওয়া যাবে না। ক্রিকেট তো বসে থাকবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তামিমের সিদ্ধান্তে একটু তো অবাক হয়েছিই। নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগেও আমি তামিমের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কেন খেলবি না বা কারণ কি। তখন এতো কথা হয়নি। আমি বলেছিলাম আমি ফিরে আসি আগে। তারপর কথা বলব। তার সঙ্গে কথাও হয়নি, তার আগেই পাপন ভাই অলরেডি বলে দিয়েছেন, তামিম পাপন ভাইকে বলেছে।’
সুজন যোগ করেন, ‘এটা অবশ্যই প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওর আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, কেউ রেডি আছে তা না। তার পরও এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ যদি না চায় তাকে তো চাপ দেয়া যাবে না। আমাদের সামনে এগোতেই হবে। ক্রিকেট তো বসে থাকবে না।’
এরপর এই ইস্যুতে তামিম ইকবালের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করে বিসিবি। তবুও দেশসেরা ওপেনারের প্ল্যান নিয়ে কিছুই জানতে পারেনি বোর্ড। এ সম্পর্কে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, তামিমের সাথে লম্বা মিটিং হয়েছে। তামিমের সাথে মাননীয় সভাপতি, আমিও ছিলাম- আমাদের সাথে একটা মিটিং হয়েছে, তার প্ল্যান নিয়ে। তবে তামিমের প্ল্যান কি সেটা আমি বলতে পারছি না। পরে আপনারা তামিমের মুখে শুনতে পারবেন।’
জালাল যোগ করেন, ‘অবশ্যই আমরা চাই তামিম কন্টিনিউ করুক। এটা আমি আগেও বলেছি। তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ স্টিল তারা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। আমরা চাই ওরা কন্টিনিউ করুক। আমরা সেই অ্যাঙ্গেলে তামিমের সাথে কথা বলেছি।’