

গত কয়েক দিন ধরে মুস্তাফিজুর রহমানের সাদা জার্সিতে খেলা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। বর্তমানে আইপিএলে ব্যস্ত এ ক্রিকেটারকে প্রয়োজন হলে ডেকে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু ফিজ তো টেস্ট কম খেলেন, অন্তত বিগত কয়েক বছরের কাটার মাস্টারের টেস্ট খেলার পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই সে তথ্য দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা। ফিজের সেই ‘কম’ খেলাকেই সাপোর্ট দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল এখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। অ্যালান ডোনাল্ডও আছেন দলের সঙ্গেই। সেখানেই মুস্তাফিজ ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। ডোনাল্ড বলেন, ‘আমি ফিজের বড় ভক্ত। আমার মনে হয়, সে সাদা বলে দারুণ বোলার।’
টেস্টে দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করার জন্য দুর্দান্ত ফিটনেস প্রয়োজন, তা হয়তো কাউকেই বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেকে মনে করেন কাটার মাস্টারের সেই ফিটনেস সেই। খেললেও ইনজুরিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তার। এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আন্দ্রে রাসেলের উদাহরণ টেনে আনেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, রাসেলকে দেখেন, ও অনেক ভালো ক্রিকেটার। কিন্তু ওর শরীরটা হয়তো টেস্টের জন্য উপযুক্ত নয়। কাজেই সে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বেছে নিয়েছে। এটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। কাজেই আমি সেটাতে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’
ডোনাল্ড কথা বলেছেন বাংলাদেশের পেস ইউনিট নিয়েও। তিনি জানান, ‘আমি শরিফুলকে নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। আমি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেখেছি। সে আসলেই দারুণ। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জেতায় তার কদর এমনিতেই বেড়ে গেছে। আর আমার জন্য সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ এবাদত ও খালেদ। তাদের সামর্থ্য দেখে আমি বিস্মিত। ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য অনেক বেশি সাহস ও প্রতিজ্ঞা লাগে। আমি কখনও টেস্টে দুজন স্পিনারের সঙ্গে দুজন পেসার খেলতে দেখিনি। কিন্তু তারা নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরেছে।’
বাংলাদেশের পেসারদের গুরুত্ব তুলে ধরতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের কথা সামনে নিয়ে আসেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ‘ডারবানে ওরা অসাধারণ ছিল। যদি আধা ঘণ্টা বাদ দেই, যেটা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল, আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই টেস্টেই অলআউট করা দারুণ ব্যাপার। যা দেখেছি, আমি খুব খুশি। ট্রেনিংয়ে যা শিখেছে, তারা তা মাঠেও দেখাতে পেরেছে।’