

গত বছর কাউন্টি খেলতে যাওয়ার পর সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। সন্দেহ দূর করতে বার্মিংহ্যামে পরীক্ষা দেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। রিপোর্টে সাকিবের বোলিংয়ে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে ইংল্যান্ড সাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হন সাকিব।
নিয়ম অনুযায়ী আইসিসি মনোনীত কোনো সেন্টারে পরীক্ষা দিয়ে অ্যাকশনের বৈধতার ছাড়পত্র না নেওয়া পর্যন্ত সাকিব ঘরোয়া ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোথাও বোলিং করতে পারবেন না। এ কারণেই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন সাকিব। শুধু ব্যাটার সাকিবকে বিসিবি দলে নেয়নি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দল ঘোষণার সময় বিসিবি নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন বৈধতা নিয়ে যে সমস্যা, সেটি থেকে তিনি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় আছেন। বোলিং পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়ার কারণে তিনি এখন শুধু একজন ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন। ফলে সিলেকশন পজিশনেও সাকিবের অবস্থান ছিল কেবল একজন ব্যাটার হিসেবে। আমাদের টিম কম্বিনেশনটা সাজাতে গিয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে ১৫ জনের দলে রাখতে পারিনি।’
লিটন দাস বাদ পড়েছেন ফর্মের কারণে। অন্য ফরম্যাটের মতো ওয়ানডেও তার দুর্দিন চলছে। সবশেষ ৭ ওয়ানডেতে তিনি দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। সবশেষ ফিফটি ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে। এরপর থেকে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৪৫।
লিপু বলেন, ‘রানের তীব্র খরায় ভুগছে। আউটের ধরনও প্রায় একরকম। ক্রিকেটের প্রত্যেকটা ফরমেটেই বিশেষ করে সাদা বলে পাওয়ার প্লের সময়ে যে সুযোগটা নেয়ার দরকার, সেখানে আপনি দেখবেন যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে আমরা তিনশোর কাছাকাছি রান করেছি। স্ট্রাইকরেট দেখেন যে ভালো করতে পারছে না। প্রেশার চলে আসছে তার পার্টনারের উপর।’