• আজ ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান : নাহিদ ইসলাম | আগামী নির্বাচনে অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি এআই: সিইসি | ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির আহ্বান ২২০ ব্রিটিশ এমপির, চাপ বাড়ছে স্টারমারের ওপর | গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৫ | সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট : ভিপি নুর | দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা দিয়ে পিছু হটল আ. লীগ | ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না’ | রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ | বিমান বিধ্বস্ত ঢাকায় এসেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল | ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা : হাসনাত আবদুল্লাহ |

সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

| নিউজ রুম এডিটর ১০:৫৫ অপরাহ্ণ | জুন ৯, ২০২৫ সাতক্ষীরা, সারাদেশ

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: এবারের ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সকল শ্রেণি পেশার হাজারও মানুষের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে। সকল বয়সের মানুষের পাশাপাশি তরুণদের মাঝে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। অনেকে তুলছেন ছবি তুলছেন কেউ সেলফি তুলছেন। সকল বয়সের মানুষের পদ চারণায় মুখরিত সাতক্ষীরা সুন্দরবনের আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম, আব্দুর রাজ্জাক শিশু পার্ক, মোজাফফর গার্ডেন, উড়াল উড়াল মন ট্যুরিজম, কারামোরা ম্যানগ্রোভভিলেজ, লিমপিড গার্ডেন, ঐতিহাসিক বনবিবি তলা (বটগাছ), রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যাটন কেন্দ্র, সীমান্তের ইছামতি নদীর তীরে টাকীর ঘাট, শ্যামনগর জমিদার বাড়ি, নলতা রওজা শরীফ, সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দিরসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদ উপলক্ষে এইসব বিনোদনকেন্দ্র সেজেছে নবরূপে। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা ও তরুণরা।

সব এলাকায় দেখা গেছে একই চিত্র। মা-বাবার হাত ধরে, কেউবা ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনের হাত ধরে ঘুরছে। শুধু শিশুরাই নয়, শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন আনন্দের রাজ্যে।

গ্রাম থেকে শহর ছুটে বেড়াচ্ছে শিশু ও তরুণরা। ছোট ছোট পিকআপ ভাড়া করে লাউডস্পিকার/সাউন বক্স লাগিয়ে বিভিন্ন গান বাজনা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তরুণরা। সীমান্তের ইছামতির নদীর তীর বা ভোমরা স্থলবন্দরেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের খবর এসেছে।

অনেকে পরিবার-পরিজন সাথে নিয়ে মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেলে হাজার হাজার মানুষ আসছেন এসব এলাকায়। সঙ্গে এনেছেন পরিবার-বন্ধু-স্বজন বা শুভাকাক্ষীদের। তুলছেন ছবি তুলছেন সেলফি। মোজাফফর গার্ডেনে ঘুরেতে আসা আরিফুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আজ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম অনেক ভালো লাগছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশলীনায় ঘুরতে আসা সাহারা দম্পতি বলেন, আমরা ঢাকায় থাকি এজন্য গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে এলে পরিবারসহ সুন্দরবন থেকে বেড়িয়ে যাই।
স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছি। খুব ভাল লাগছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় স্থানীয় প্রশাসন এবং সাতক্ষীরা জোন টুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এলাকায় সাময়িক নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে, “আকাশলীনা” এলাকায় ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। আগামী কয়েক দিন এ ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, জেলার মানুষ যারা বাহিরে থাকে তারা সকলে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় ফিরেছেন। অনেকে ঈদের দিন বেড়িয়েছেন অনেক কোরবানি দিতে গিয়ে বের হতে পারেননি। তারাও জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এজন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কোথাও যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।